Hoia Baciu

বহু মানুষ নিরুদ্দেশ হয়েছেন এর জটিল গোলকধাঁধায়। কী এমন রয়েছে এই ভুতুড়ে জঙ্গলে?

রহস্যে মোড়া এই পৃথিবী। চারপাশে এমন অনেক ঘটনা ঘটে চলেছে যার সামনে যাবতীয় বৈজ্ঞানিক যুক্তি, চিন্তাধারা খারিজ হয়ে যায়। রহস্য মাখা এমনই এক অরণ্য ‘হোয়া বাচু’ ।বিভিন্ন রকম অতিপ্রাকৃতিক কার্যকলাপ, অপ্রত্যাশিত ঘটনার ফলে যা ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সবথেকে ভুতুড়ে জঙ্গলের তকমা পেয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ১৮:০৩
Share:
০১ ১২

রহস্যে মোড়া এই পৃথিবী। চারপাশে এমন অনেক ঘটনা ঘটে চলেছে যার সামনে যাবতীয় বৈজ্ঞানিক যুক্তি, চিন্তাধারা খারিজ হয়ে যায়। রহস্য মাখা এমনই এক অরণ্য ‘হোয়া বাচু’ ।বিভিন্ন রকম অতিপ্রাকৃতিক কার্যকলাপ, অপ্রত্যাশিত ঘটনার ফলে যা ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সবথেকে ভুতুড়ে জঙ্গলের তকমা পেয়েছে।

০২ ১২

রোমানিয়ার ট্র্যান্সেলভেনিয়ার ক্লাজ নাপোকা শহরে প্রায় ২৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই জঙ্গল।

Advertisement
০৩ ১২

প্রচলিত আছে, অনেক বছর আগে এক মেষপালক প্রায় ২০০ ভেড়া চড়াতে ওই বনে প্রবেশ করে। কিন্তু আর কখনই ফিরে আসেনি তারা। জঙ্গলের গোলকধাঁধায় কোথায় যে হারিয়ে গেছে কেউ জানে না।

০৪ ১২

১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম এই অরণ্যটি বিশ্ববাসীর নজরে আসে। জীববিজ্ঞানী আলেকজান্দ্রু সিফ্‌ট আকাশে ডিম্বাকৃতি কিছু উড়ে যেতে দেখেন। সেই বস্তুটির ছবিও তোলেন আলেকজান্দ্রু।

০৫ ১২

১৯৬৮ সালে এমিল বার্নিয়া নামে সেনাবাহিনীর এক টেকনিশিয়ানও ইউএফও-র মতো এক ‘সসার’ জঙ্গলের উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখেন বলে দাবি করেন।

০৬ ১২

এই ঘটনায় হতবাক হয়ে এমিল আশপাশের গ্রামের মানুষদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরাও জানায় মাঝে মাঝেই তীব্র গোলাকার আলোর বলয় ঊর্ধ্বাকাশে যেতে দেখেছেন।

০৭ ১২

পরবর্তী কালে যারা যারাই এই জঙ্গলে গিয়েছেন তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই মাথাঘোরা, গায়ে ফোস্কা পড়া, শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন অস্বাভাবিক ঘটনার শিকার হয়েছেন।

০৮ ১২

বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন এই বনে অস্বাভাবিক মাত্রায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হয়ে থাকে।এ ছাড়াও এখানে চুম্বকীয় এবং তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের বেশ কিছু বিচ্যুতি রয়েছে।

০৯ ১২

এই জঙ্গলে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে কোনদিনও কোনও গাছ অথবা লতা গুল্ম জন্মাতে দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এখানকার মাটি নিয়েও পরীক্ষা করে দেখেছেন। তবে মাটিতেও এমন কোনও অস্বাভাবিকতা চোখে পড়েনি যা গাছ জন্মানোর পরিপন্থী।

১০ ১২

স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বিশেষ জায়গাটিকে ভূতুড়ে ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বলে থাকেন। তাদের ধারণা, কোনো অশরীরী কিছু বা অতৃপ্ত আত্মার বাস রয়েছে ওই জায়গায়।

১১ ১২

লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, অনেক বছর আগে কিছু চাষীকে নাকি অন্যায় ভাবে এই জঙ্গলে হত্যা করা হয়েছিল।তাদের অতৃপ্ত আত্মাই এই বনের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে।বনের গাছের ফাঁকে ফাঁকে তাই কান পাতলেই শোনা যায় নারী কান্নার আর্তনাদ, হাসির আওয়াজ।

১২ ১২

সত্যিই কি ওই জঙ্গল ভুতুড়ে? উত্তর খুঁজতে অনেক বিজ্ঞানী নিরন্তর গবেষণাচালিয়েছেন কারও মতে এ মানুষের আজগুবি কল্পনা আবার কেউ কেউ বনের গহনে দেখেছেন ছায়ামূর্তি, চাপা ফিসফাস।তবে আজও সারা দুনিয়ার চোখে ভুতুড়ে হয়েই রয়ে গিয়েছে ট্রান্সসিলভানিয়ার এই জঙ্গলটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement