coronavirus

তিন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ‘ককটেল’ দাওয়াই হংকংয়ের

শুক্রবার ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হংকং শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৫:৩৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

তিন রকম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ‘ককটেল’। রোগ অল্প থাকতে-থাকতে এ দাওয়াই দিলে তা করোনা-চিকিৎসায় অব্যর্থ কাজ করছে বলে দাবি করলেন হংকংয়ের এক দল বিজ্ঞানী। শুক্রবার ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

Advertisement

আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা করোনা-রোগীদের ক্ষেত্রে এই ককটেল যে একেবারেই কাজ করবে না, এমন কথা বলছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে কতটা কাজ করবে, তা জানতে বড় মাপের গবেষণা দরকার বলে মনে করেন তাঁরা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত এই গবেষণাটি চলে। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কোক-ইয়াং ইউয়েন বলেন, ‘‘সদ্য আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ওই ককটেলটি দেওয়া হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, দ্রুত শরীর থেকে ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।’’

মাল্টিপল স্কেলরোসিসের ওষুধ ‘ইন্টারফেরন বিটা-১বি’, এইচআইভি-র ওষুধ ‘লোপিনাভির-রিটোনাভির’ এবং হেপাটাইটিসের ‘রিবাভিরিন’। ককটেলে রয়েছে এই তিনটি ওষুধ। ইউয়েন জানান, এই ককটেল শুধু সদ্য আক্রান্তের চিকিৎসায় কাজ দেবে তাই নয়, স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সাহায্য করবে। কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোপ পড়তে পারে অভিবাসী ভিসায়

ওষুধটি নিরাপদ। স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্রমাগত রোগীদের সংস্পর্শে থাকতে হচ্ছে। সংক্রমণের আশঙ্কা তাঁদের সবচেয়ে বেশি।

এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষেধকের সন্ধানে গবেষণা চলছে। ব্রিটেন, জার্মানি, চিন ও আমেরিকায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে। হংকংয়ের এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় ছ’টি হাসপাতালের ১২৭ জন রোগী। এঁদের প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক। এর মধ্যে ৮৬ জনকে দু’সপ্তাহ অ্যান্টিভাইরাল ককটেলটি দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৪১ জনকে কন্ট্রোল গ্রুপে রেখে শুধু এইচআইভি-র ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ উঠল বিজয় দিবসেও

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, যাঁদের ককটেল দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা গড়ে ৭ দিনে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কন্ট্রোল গ্রুপের রোগীদের সেখানে অনেকটাই বেশি সময় লাগছে সুস্থ হয়ে উঠতে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন