বীভৎস! জীবন্ত অবস্থায় যুবকের দেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নিল তালিবান

নৃশংসতায় হাড় হিম করে দিল তালিবান। নির্বিচারে গণহত্যা করা, মাথা কেটে নেওয়া, বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা তালিবানের তরফে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বার আফগানিস্তানের তালিবান কম্যান্ডাররা পরস্পরে সঙ্গে নৃশংসতার প্রতিযোগিতায় নামতে চাইছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ২৩:৩০
Share:

নৃশংসতায় হাড় হিম করে দিল তালিবান। নির্বিচারে গণহত্যা করা, মাথা কেটে নেওয়া, বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা তালিবানের তরফে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বার আফগানিস্তানের তালিবান কম্যান্ডাররা পরস্পরে সঙ্গে নৃশংসতার প্রতিযোগিতায় নামতে চাইছেন। অ-তালিবানদের হত্যা করার সময় কত রকম ভাবে কষ্ট দেওয়া যায়, তার নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করছে আফগান তালিবান। না হলে কোনও জীবন্ত মানুষের শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া কি সম্ভব?

Advertisement

ঘটনাটি আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের। ফজল আহমেদ নামে ২১ বছরের এক সদ্য-যুবককে যে নৃশংস পদ্ধতিতে খুন করেছে তালিবান, তার বীভৎসতায় গোটা আফগানিস্তান শিউরে উঠছে। শিউরে উঠেছে গোটা পৃথিবী।

ফজল আহমেদের পরিবার তালিবান বিরোধী। তাঁর এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে এক তালিবানকে খুন করার অভিযোগ ছিল। তার বদলা নিতেই তাকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কী ভাবে খুন? জানা গিয়েছে, প্রথমে জঙ্গিরা উপড়ে নেয় ফজল আহমেদের দু’টি চোখ। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে করতে ফজল তখনও বেঁচে রয়েছেন দেখে আরও জঘন্য নৃশংসতা শুরু। ছুরি দিয়ে তাঁর বুকের উপরের দিকের চামড়া কেটে ফেলা হয়। তার পর কাটা চামড়ার প্রান্ত ধরে তা টেনে টেনে গা থেকে ছাড়িয়ে নিতে থাকে জঙ্গিরা। তীব্র চিৎকার করতে থাকেন ফজল। তত বেশি করে উল্লাসে মাতে জঙ্গিরা। এমন ভাবে চামড়া ছিড়ে নেওয়া হয়েছিল ফজলের বুক থেকে যে তাঁর হৃদপিণ্ড বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল। এর পর একটি দশতলা বাড়ির সমান উঁচু টিলার উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয় ফজল আহমেদকে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

মনে পড়ে এই ছবি? কাহিনি শুনলে মন খারাপ হয়ে যাবে আপনারও

স্কুলে গিয়েও কেন মনিহারি দোকান চালাতে হয় অজয়কে!

তালিবানের এই নৃশংসতা প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে বিভিন্ন মহলে। তার পর জঙ্গি সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, এই কাজ তাদের নয়। কিন্তু স্থানীয় এমপি রুকিয়া নাইল জোর দিয়ে বলেছেন, এ কাজ তালিবান জঙ্গিরাই করেছে।

গত ছ’মাস ধরে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছে তালিবানরা। তার জন্য সেই আগের মতোই প্রথমে সাধারণ মানুষের মনে ত্রাস সৃষ্টির পথই তারা বেছে নিয়েছে। অনেক অল্প বয়সী যুবককে বিভিন্ন এলাকার কম্যান্ডার করেছে তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব। এই নতুন কম্যান্ডাররা আগের চেয়েও বেপরোয়া। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে পড়ার জন্য পরস্পরের সঙ্গে নৃশংসতার প্রতিযোগিতায় মেতেছে তারা। কোনও এক প্রদেশের তালিবান কম্যান্ডারের ভয়ঙ্কর নৃশংসতার খবর যখন মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে, তখন অন্য প্রদেশের অন্য কোনও কম্যান্ডার আরও কোনও বীভৎস ঘটনা ঘটানোর ছক কষতে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন