মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তারা। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
বালোচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার পাকিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণে ওয়াজ়িরিস্তানের এক মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় শোরগোল। এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। তবে অনেকের মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুরে আজ়ম ওয়ারশাক বাইপাস রোডের মৌলানা আব্দুল আজ়িজ় মসজিদে প্রার্থনার সময় আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মনে করা হচ্ছে, এই হামলার ঘটনার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। হামলায় জখম অবস্থায় অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার পরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। তড়িঘড়ি মসজিদ খালি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ।
অতীতেও পাকিস্তানে বার বার মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত মাসেই নৌশেরা জেলায় এক মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পেশোয়ারের পুলিশ লাইনের এক মসজিদের ভিতরে বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় কমপক্ষে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বালোচিস্তানের বোলানে মাশকাফ সুড়ঙ্গে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে বালোচ বিদ্রোহীরা। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে পাক সেনার অভিযানে উদ্ধার হন যাত্রীরা। পাক সেনার দাবি, সব বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযানে। বিদ্রোহীদের পাল্টা দাবি, ৩০ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে সংঘর্ষে। সেই আবহে মসজিদে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনায় ফের পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।