‘ব্যাগেজ ফি’ থেকে রেহাই পেতে এক আশ্চর্য ফন্দি বার করেন রায়ান। প্রতীকী ছবি।
ফন্দিটা ছিল জমজমাট। ঠিক যেন কোনও কমেডি-ড্রামার সিকুয়েল। তবুও ঠিক জমল না।
ঘটনা যাঁকে ঘিরে, সেই রায়ান কার্নি উইলিয়াম এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ পরিচিত মুখ। টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর একটার পর একটা পোস্ট দেখে হতবাক তামাম নেট দুনিয়া।
হঠাৎ কী এমন করলেন রায়ান? ‘ব্যাগেজ ফি’ থেকে রেহাই পেতে এক অভিনব ফন্দি এঁটেছিলেন তিনি। একটা দু’টো নয়, একসঙ্গে আট জোড়া প্যান্ট এবং দশখানা টি-শার্ট চাপিয়ে উড়ান ধরার মতলব করেছিলেন রায়ান। কিন্তু, শেষমেশ ধরা পড়লেন বিমান কর্তৃপক্ষের হাতে।
আরও পড়ুন:
ভারতীয় পর্যটকের পথ চেয়ে পেনাং
তেতলায় ডাক্তারের চেম্বারে চড়ল গাড়ি
বিমানে ওঠার জন্য এক জন যাত্রী সর্বোচ্চ যত কিলোগ্রাম ওজনের ব্যাগ বহন করতে পারেন তার একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে। তার চেয়ে ওজন বেশি হলে যাত্রীকে বিমানবন্দরে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের দাবি, এই অতিরিক্ত অর্থ না দেওয়ার জন্যই লাগেজের অর্ধেকের বেশি জামা-প্যান্ট নিজের গায়েই চাপিয়ে নিয়েছিলেন রায়ান। তাঁকে চেক-ইন করতে বাধা দিলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তর্কও জুড়ে দেন। এমনকী, জরিমানা দিতেও অস্বীকার করেন।
ঘটনার শেষ এখানেই নয়। চমকের এখনও অনেক বাকি। প্রথম দিন ফ্লাইট ধরতে না পেরে পরের দিনের ফ্লাইট বুক করেন রায়ান। সেখানেও বিপত্তি। ফের চেক-ইন করার সময় তাঁকে আটকান কর্তৃপক্ষ। তবে এ বার ব্যাগেজ চার্জের জন্য নয়। আগের দিনের আচরণের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। ফের শুরু হয় বচসা। যতক্ষণে বচসার ইতি হয়, বিমান মাটি ছেড়ে আকাশপথে পাড়ি দিয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে রায়ানের ব্যাগও।
গোটা ঘটনাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রায়ান। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগও জানিয়েছেন।