ফাইল চিত্র।
এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী মঙ্গলবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে ভারত-চিন যৌথ সামরিক মহড়া। দক্ষিণ পশ্চিম চিনের চেংডু শহরে শুরু হচ্ছে এই মহড়া। সন্ত্রাস মোকাবিলা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানোর উদ্দেশেই এই মহড়া বলে জানিয়েছে ভারত এবং চিন। দুই দেশের তরফে এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড’, অর্থাৎ হাতে হাত মিলিয়ে বোঝাপড়া।
২০১৭ সালে ভুটানের ডোকলামে চিনের রাস্তা বানানো নিয়ে ভারত ও চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে চলছিল ভাটার টান। এই বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিন সফরের পর থেকেই বরফ গলতে শুরু করে। পাশাপাশি ২৪ নভেম্বর ভারত-চিন সীমান্ত বৈঠকে ভারতের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। অন্যদিকে চিনের তরফে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেই বৈঠকেই যৌথ মহড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় বলে জানা যাচ্ছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই সামরিক মহ়ড়া। চলবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভারত এবং চিনের তরফে ১০০ জন করে সেনা এই মহড়ায় অংশ নেবেন। যৌথ মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড’, অর্থাৎ হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করার অঙ্গীকার করাই হচ্ছে এই সেনা মহড়ার উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: তালিবানি হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, ফের ঘরছাড়া আফগানিস্তানের ‘লিটল মেসি’
চিনের সেনাবাহিনী অর্থাৎ পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র কর্নেল রেন গোকিয়াং জানিয়েছেন, ‘‘এই সেনামহড়ার ফলে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বোঝাপড়া বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সন্ত্রাস দমনে আরও যৌথভাবে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারবে ভারত এবং চিন।’’
আরও পড়ুন: ফের প্রতিবাদের ঝড়, প্যারিসে স্তব্ধ জনজীবন
(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)