সৈয়দ আকবরউদ্দিন রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগ্য জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানকে, বলছে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জ সাধারণ সভার অধিবেশনে কাশ্মীরে অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে ভারতের নিন্দা করেছিলেন পাকিস্তানের দূত। রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন অত্যন্ত কঠোর ভাষায় তার উত্তর দিলেন। বললেন, ‘পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ, যারা অন্য দেশের এলাকা দখলের লালসা রাখে এবং সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভারতীয় দূত যে ভাষায় পাকিস্তানকে আক্রমণ, করেছেন, সাম্প্রতিক অতীতে তার নজির নেই। ভারত-পাক উত্তেজনার পারদের ওঠা-পড়া নিরন্তর চলতে থাকলেও, গত বেশ কয়েক বছরে ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এত কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে কূটনৈতিক মহলে। সাধারণ সভার অভিবেশনে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিতর্কের সময় পাক দূত মালিহা লোদি জম্মু-কাশ্মীরে হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র দমননীতি চালানোর এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি। ভারতীয় দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন নিজের ভাষণের সময় পাক দূতের সেই মন্তব্যেরই জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম রাষ্ট্রপুঞ্জের এই মঞ্চের অপব্যবহারের চেষ্টা হল। সেই চেষ্টা করল পাকিস্তান, যে দেশটি হল এমন একটি দেশ, যারা অন্য দেশের এলাকা দখলের লালসা রাখে, যারা সন্ত্রাসবাদকে নিজেদের রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করে, যারা জঙ্গিদের হয়ে গলা ফাটায়, যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারা চিহ্নিত জঙ্গিদেরও নিজেদের ভূখণ্ডে আশ্রয় দেয় এবং যারা জঙ্গিদের সাহায্য করার এই প্রক্রিয়া বজায় রাখতে মানবাধিকার রক্ষার ছদ্মবেশ ধরে।’’
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে হঠাৎ আক্রমণে নওয়াজ, পাল্টা নিন্দা ভারতের
পাক দূত মালিহা লোদি নিজের ভাষণের সময় বলেছিলেন, বুরহান ওয়ানির হত্যা ‘বিচার বহির্ভূত’। বুরহানকে হিজবুল কম্যান্ডার হিসেবে স্বীকার না করে তাঁকে কাশ্মীরি নেতা বলেছিলেন লোদি। অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সে সবের জবাব দিয়েছেন আকবরউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান হল সেই দেশ, যে দেশের মানবাধিকার সংক্রান্ত ট্র্যাক রেকর্ড দেখে আন্তর্জাতিক মহল আদৌ আশ্বস্ত হতে পারেনি এবং এই সভাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের সদস্যপদ পাকিস্তানকে দেওয়া যাবে না। ...সেই রকম একটা দেশের তরফ থেকে যে সমালোচনা তোলা হয়েছে, এই সভায় বা রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্য কোনও মঞ্চেই তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’’