প্রতীকী ছবি।
প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের সমস্যা নিরসনে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংশ্লিষ্ট তহবিলে অনুদান প্রায় চার গুণ বাড়িয়ে দিল ভারত। এই পরিমাণ ধার্য ছিল ৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। আমেরিকা এই খাতে টাকার জোগান বন্ধ করায় সঙ্কটে পড়েছে ‘ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’। তৈরি হয়েছে বাজেট ঘাটতি। ফলে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের পুর্নবাসনের বিষয়টি।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারের কথায়, ‘‘তহবিলটি অভূতপূর্ব ঘাটতির মধ্যে পড়েছে। তাই অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ গত মাসে প্যালেস্তাইনে গিয়ে মুসলিম বিশ্বকে সদর্থক বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্যালেস্তাইনকে ভারত স্বীকৃতি দিলেও মোদীর আগে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাননি। এই সফরের ঠিক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাতে ১২৭টি দেশের সঙ্গে ভারতও ভোট দেয়। পূর্ব জেরুজালেমকে প্যালেস্তাইনের রাজধানী করার দাবি বরাবরই জানিয়ে আসছে আরব দেশগুলি।
এই সমস্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে দিল্লি বোঝাতে চাইছে, ইজরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার হয়ে উঠলেও ভারত-প্যালেস্তাইন সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে না।