US Election Results 2020

আমেরিকার আফগান নীতিই কাঁটা দিল্লির

ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ওভাল অফিসে নতুন অতিথি এলেও আমেরিকার কাবুল-নীতির কোনও ফারাক ঘটবে না বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার প্রতিবেশীকে নিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতের উদ্বেগ থেকেই যাবে। বাড়বে কাশ্মীরে পাকিস্তানের নাশকতা চালিয়ে যাওয়ার ইন্ধন।

Advertisement

ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তৈরি হয়েছিল আফগানিস্তানের ভিতরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে আলাপ আলোচনার পরিসর। কিন্তু দেখা গিয়েছে হিংসা কমেনি, বরং বেড়ে গিয়েছে হামলা ও নাশকতা। সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি এবং তাঁর সরকারের কর্তাদের সঙ্গে তালিবান প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাবুল নীতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার অভাবে গোটা বিষয়টি আরও নড়বড়ে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত মাসে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প টুইট করে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বড়দিনের মধ্যে সমস্ত সেনাকে ঘরে ফিরিয়ে আনা হবে আফগানিস্তান থেকে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তৈরি করে ভোটে তার সুফল লাভের কথা ভেবেছিলেন ট্রাম্প, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। কিন্তু এর ফলে আল কায়দা-র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে তালিবানের নতুন করে গাটছড়া বাঁধার সুযোগ তৈরি হল।

Advertisement

জো বাইডেন এখনও পর্যন্ত জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে খুব ছোট মাপের একটি সেনাদল (দেড় থেকে দু হাজার) রাখার পক্ষে তিনি। যারা শুধু সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করবে। কিন্তু আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া চালু রাখার জন্য ট্রাম্পের তুলনায় বৃহত্তর এবং বিশেষ ভূমিকা নিতে তাঁকে দেখা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই তালিবানের সঙ্গে যে চুক্তি করেছেন, তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে সাউথ ব্লকের। কিন্তু বাইডেন এসে তার বদল ঘটাবেন, এমন ইঙ্গিতও মেলেনি। এই চুক্তির ফলে আফগান সরকারকে ৫০০০ তালিবান বন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে। বিনিময়ে মাত্র ১ হাজার আটক আফগান নিরাপত্তা কর্মীকে মুক্তি দেওয়ার কথা তালিবানের। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে কাশ্মীরে তালিবান জেহাদিদের ঢল নামার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সে কাজে পাকিস্তানের সক্রিয় ইন্ধনও থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন