পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে ফের ভিডিয়ো ভারতের

আজ ভারতীয় সেনার তরফে ‘থার্মাল ইমেজ’ বা ‘তাপচিত্র’-এর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৭
Share:

ক্যামেরায় এই বেশ কয়েক জনের অবয়ব ধরা পড়েছে।

আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও পাকিস্তান যে কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশে ক্রমাগত মদত দিয়ে যাচ্ছে তা প্রমাণ করতে ফের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করল ভারত।

Advertisement

আজ ভারতীয় সেনার তরফে ‘থার্মাল ইমেজ’ বা ‘তাপচিত্র’-এর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ধরা পড়েছে কিছু অবয়ব। মাঝে মাঝে ভিডিয়োর ছবি কেঁপেও উঠছে। সেনার দাবি, ১২ এবং ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিপির সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়া হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাক সেনার ব্যাট বাহিনী। সেই ঘটনাই ধরা পড়েছে ওই ভিডিয়োয়।

সেনার আরও দাবি, ব্যাট বাহিনীতে থাকা পাকিস্তানি কমান্ডো ও জঙ্গিদের দিকে ভারতীয় জওয়ানদের আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার থেকে গ্রেনেড ছোড়ার চিত্রও ধরা পড়েছে ওই ভিডিয়োয়।

Advertisement

তাপচিত্র

বিষয়টি কী?
• সব বস্তু থেকে তাপ বিকিরিত হয়। সেই তাপকে চিহ্নিত করে বিশেষ ক্যামেরায় যে-ছবি তোলা হয়, সেটাই থার্মাল ইমেজ বা তাপচিত্র। মূলত ইনফ্রা-রেড রশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে ছবি তোলা হয়।

কেমন ছবি?
• অবয়ব ধরা পড়ে। কিন্তুখুঁটিনাটি নয়। ঘোর অন্ধকারেও ছবি সম্ভব।

ব্যবহার কোথায়?
• কৃত্রিম উপগ্রহ, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও চশমা, নিরাপত্তা ক্ষেত্র এবং গভীর অরণ্যে পশুপাখি চিহ্নিত করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

সেনার দাবি, অগস্টে ১৫টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে তারা। সেপ্টেম্বরেও ক্রমাগত জঙ্গি ও কমান্ডো অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। ১০ সেপ্টেম্বর হাজিপির সেক্টরেই সংঘর্ষে পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর জওয়ান গুলাম রসুল নিহত হন বলে জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সাদা পতাকা নিয়ে ভারতীয় এলাকা থেকে তাঁর দেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করে ভারত।

সেনা সূত্রের দাবি, গুরেজ, মাচ্ছাল, কেরন, টাংধর, উরি, পুঞ্চ, নৌশেরা, সুন্দরবনী, আর এস পুরা, রামগড়, কাঠুয়ার কাছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বেশ কিছু জঙ্গি লঞ্চপ্যাড চালু করেছে পাক সেনা। সেখানে প্রায় ২৫০ জন জঙ্গি রয়েছে। পাক পঞ্জাব প্রদেশে যুবকদের জঙ্গি দলে নিয়োগ করার কাজ ফের শুরু করেছে লস্কর ও জইশ। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ, মানশেরা, কোটলিতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুলওয়ামা পর্বের পরে মৌলানা মাসুজ আজহারের জইশ এবং হাফিজ সইদের লস্করের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ করেছিল ইমরান খান সরকার। সেনা সূত্রের দাবি, বারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা ও জঙ্গিদের কাজ দেখে বোঝা যাচ্ছে ফের লস্কর-জইশ সক্রিয় হয়েছে। মদত দিচ্ছে পাক সেনাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন