International News

ডোকলাম থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ভারতের: চিন

শুধু ডোকলাম নয়, ভারতের গোটা উত্তর সীমান্ত জুড়ে চিন আগ্রাসন ক্রমশ বাড়াচ্ছে বলেও জেনারেল রাওয়াত জানিয়েছিলেন। পশ্চিম সীমান্ত থেকে এ বার উত্তর সীমান্তে নজর ঘোরানোর সময় হয়ে গিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন। চিনা মুখপাত্র বৃহস্পতিবার তারই জবাব দিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ২৩:৫৯
Share:

ডোকলামের ঘটনা থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত— বৃহস্পতিবার এমনই বার্তা দিয়েছেন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল উ কিয়ান।ফাইল চিত্র।

ভারতের সেনাপ্রধানকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিল চিন। ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তের ডোকলাম যে বিতর্কিত এলাকা এবং ওই অঞ্চলকে চিনের অংশ হিসেবে যে ভারত স্বীকৃতি দেয় না, সে কথা সম্প্রতি ফের জানিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান। তার প্রেক্ষিতেই মুখ খুলেছে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারতের সেনাপ্রধানের মন্তব্য কাঙ্খিত নয় এবং ডোকলামের ঘটনা থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত— বৃহস্পতিবার এমনই বার্তা দিয়েছেন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল উ কিয়ান।

Advertisement

গত ১২ জানুয়ারি ডোকলাম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়ত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তোর্সা নালার পশ্চিম দিকের যে অংশ উত্তর ডোকলাম নামে পরিচিত, পিপলস লিবারেশন আর্মি (চিনা সেনা) তা নিজেদের দখলে রেখেছে। আসল ঘটনাস্থল (যেখানে ভারতীয় ও চিনা বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে ছিল) থেকে দু’পক্ষই সরে গিয়েছে। শিবির রয়েছে। নজরদারি চৌকিগুলিও রয়েছে। ওই অঞ্চল হল ভুটান এবং চিনের মধ্যে বিতর্কিত একটি অঞ্চল।’’

শুধু ডোকলাম নয়, ভারতের গোটা উত্তর সীমান্ত জুড়ে চিন আগ্রাসন ক্রমশ বাড়াচ্ছে বলেও জেনারেল রাওয়ত জানিয়েছিলেন। পশ্চিম সীমান্ত থেকে এ বার উত্তর সীমান্তে নজর ঘোরানোর সময় হয়ে গিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন। চিনা মুখপাত্র বৃহস্পতিবার তারই জবাব দিয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর খুনে দেশে মৃত্যুদণ্ড বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

আরও পড়ুন: এসএফআই-এর সভায় বোমা, জখম ছাত্র, অভিযুক্ত তৃণমূল

ডোকলাম চিনেরই অংশ, এ দিন জোর দিয়ে সে কথা বলেছেন কর্নেল উ কিয়ান। ৭৩ দিন ধরে ডোকলামে যে টানাপড়েন চলেছিল, সেই টানাপড়েনের কথা ভারতের খেয়াল রাখা উচিত এবং তার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়— এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিনা মুখপাত্র।

২০১৬-র ১৬ জুন থেকে ত্রিদেশীয় সীমান্তের ডোকলামে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারত ও চিনের সশস্ত্র বাহিনী। ভুটানের এলাকায় ঢুকে চিন রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল। ভারত ওই এলাকায় বাহিনী পাঠিয়ে সে কাজ আটকে দেয়। তার পরই দু’দেশের বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। ক্রমাগত কূটনৈতিক প্রয়াস পরিস্থিতি প্রশমিত করে। ২৮ অগস্ট দু’দেশ বাহিনী ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করে। ওই ঘটনা থেকে চিনের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদদের একাংশের মত। চিন অবশ্য পাল্টা বলছে, ওই ঘটনা থেকে ভারতেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন