পাশেই আছি, ঘানিকে বার্তা দিলেন মোদী

হেরাটে দাঁড়িয়ে ফের আফগানিস্তানকে সব রকম ভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জঙ্গিরা চেষ্টা করলেও দু’দেশের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হেরাট শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৬ ০৩:২৫
Share:

সালমা বাঁধ উদ্বোধনে নরেন্দ্র মোদী ও আশরফ ঘানি। শনিবার হেরাটে। ছবি: পিটিআই।

হেরাটে দাঁড়িয়ে ফের আফগানিস্তানকে সব রকম ভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জঙ্গিরা চেষ্টা করলেও দু’দেশের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

Advertisement

এর আগে কাবুলে গিয়ে ভারত-আফগান মৈত্রীর বার্তা দিতে ‘জঞ্জীর’ ছবির আফগান চরিত্র শের খানের কথা টেনে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পর্দায় শের খানরূপী প্রাণের মুখে থাকা গানের কলি শুনিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ইয়ারি হ্যায় ইমান মেরা ইয়ার মেরি জিন্দেগি। এখনও ভারতীয় ও আফগানরা পরস্পরকে এই চোখেই দেখে।’’ আর আজ হেরাটে সালমা বাঁধের উদ্বোধনে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানিকে পাশে নিয়ে বললেন, ‘‘এই বাঁধের ভিত্তি ইট নয়, দু’দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস।’’ ১৭০০ কোটি টাকা খরচ করে ইরান সংলগ্ন হেরাট প্রদেশে হারিরুদ নদীর উপরে সালমা বাঁধ গড়েছে ভারত। ৭৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে সেচের কাজ করা যাবে এই বাঁধ থেকে। উৎপাদিত হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে তার চেয়েও যে বাঁধটির রাজনৈতিক তাৎপর্য বেশি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী।

বস্তুত, দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনার ফসল এই সালমা বাঁধ। আশরফ ঘানি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার দিকে জোর দেয় মোদী সরকার। পাকিস্তানের সন্ত্রাস মোকাবিলা প্রশ্নেও এই সম্পর্ক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

কেন?

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ভারতবন্ধু হিসেবেই আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত ছিলেন। তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সখ্যও ছিল সর্বজনবিদিত। তালিবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় ইসলামাবাদের চোখ-রাঙানি সত্ত্বেও ভারতকে সর্বতো ভাবে জড়িয়ে নিয়েছিলেন কারজাই।

কিন্তু ২০১৪-য় ঘানি ক্ষমতায় এসে প্রথমেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পূর্বসূরির পথে হাঁটবেন না তিনি। প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে ভারত নয়, পাকিস্তানকেই বেছেছিলেন তিনি। এতেই নয়াদিল্লি সতর্ক হয়ে যায়। কারণ কৌশলগত এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে কাবুলের গুরুত্ব ভারতের কাছে অপরিসীম। ইসলামাবাদের সঙ্গে ঘানির ঘনিষ্ঠতার বিষয়টিও যথেষ্ট প্রচারিত ছিল। তখন থেকেই কাবুলের সঙ্গে কূটনৈতিক দৌত্য জোরদার করতে শুরু করে মোদী সরকার। এমনকী আশরফের স্ত্রী রুলা ঘানিকে আমন্ত্রণ করে ভারতে আনা হয়। গত বছর এপ্রিলে নয়াদিল্লি আসেন আশরফ ঘানি নিজেও। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক সহজ করার চেষ্টা শুরু হয়। সেই চেষ্টাতেই আরও একটা দৃঢ় পদক্ষেপ তৈরি হল এই বাঁধ উদ্বোধনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন