পারভেজ খট্টক। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
পুলওয়ামার জবাবে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। পাকিস্তানে বোমা বর্ষণ করেছে। তার পর পাক সেনার নাকের ডগা দিয়েই নিরাপদে ফিরে এসেছে বায়ুসেনা। সেই নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে ব্যাপক ট্রোল্ড হলেন সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খট্টক। তাঁর যুক্তি, অন্ধকারে কিছু ঠাহর করা যায়নি। সেই সুযোগেই বোমা ফেলে পালিয়ে যায় ভারতীয় বাহিনী।
মঙ্গলবার ভোরবেলা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢোকে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ ও চাকোটিতে এবং পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। তার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইমরান খানের সরকার। নিরাপত্তা বলয় টপকে ভারতীয় বাহিনী সেখানে ঢুকল কী করে, আর যদিও বা ঢুকল বোমা ফেলে চলেই বা গেল কী করে, বিশিষ্ট নাগরিকরাও এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই বিপত্তি বাধিয়ে বসেন পারভেজ খট্টক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে। সেটির সত্যতা যদিও যাচাই করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার ভারতের প্রত্যাঘাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন পারভেজ খট্টক। ভিডিয়োটি সেখান থেকেই ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই বৈঠকে পারভেজ খট্টক বলেন, ‘‘আমাদের বায়ুসেনা তৈরিই ছিল। কিন্তু তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতি আঁচ করা সম্ভব হয়নি। নির্দেশ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল।’’
এই ভিডিয়োই ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে আকাশসীমা লঙ্ঘন ৪ পাক যুদ্ধবিমানের, ১টিকে গুলি করে নামাল বায়ুসেনা
আরও পড়ুন: আত্মরক্ষার জন্য অভিযান ভারতের, চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা সুষমার
ওই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানি বায়ুসেনা আকাশেই ছিল। সবরকম সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্যই তৈরি ছিলাম আমরা।’’
তবে তাঁর সাফাইও থামাতে পারেনি নেটিজেনদের। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে বিদ্রূপ করতে ইমরান খানের নির্বাচনী স্লোগান ‘নয়া পাকিস্তান’-এর উল্লেখ করে একজন লেখেন, ‘বাহিনী তৈরিই ছিল, কিন্তু বড্ড অন্ধকার ছিল যে...এই হল নয়া পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এ ভাবে ভয়ে কুঁকডে় থাকলে চলবে কেমন করে?’ যে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অন্ধকারে ভয় পান, এমন পড়শির জন্য ভারতেরও লজ্জাবোধ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
তবে সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি পারভেজ খট্টক। সময় মতো ভারতকে জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইমরান খানের সরকার।
(সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)