ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের সমর্থন করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান নয়। বরং আত্মরক্ষার্থেই বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে ভারত। কারণ, জঙ্গিদের স্বর্গ হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এবং ভারতে ফের আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে জইশ। যা রুখতেই ওই পদক্ষেপ। চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের সমর্থনে বুধবার এ কথাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
রাশিয়া, ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে আয়োজিত ১৬তম ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। তার আগে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে একটি পার্শ্ব বৈঠক করেন সুষমা। ওই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আগে উদ্বোধনী ভাষণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যে মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের স্বপক্ষে মুখ খোলেন সুষমা।
আরও পড়ুন: সামরিক শক্তিতে প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ভারত
তিনি বলেন, “সামরিক অভিযান নয়, দেশের নিরাপত্তার খাতিরেই পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে বিমানহানা চালিয়েছে ভারত।” সুষমার কথায়, “জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে রয়েছে পাকিস্তান। বার বার তথ্যপ্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও জইশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পাকিস্থান।” সুষমা বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশে আরও একটি জঙ্গিহানা রুখতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। পরিস্থিতির অবনতি হোক, তা কখনওই চায় না ভারত। এবং ভারত আগের মতোই দায়িত্বশীল এবং সংযত ভূমিকা পালন করবে।”
আরও পড়ুন: ভারতকে ফের হুমকি, সেনা তৈরি ইমরানেরও
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে এ তথ্য জানতেন?
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বুধবার একটি পার্শ্ব বৈঠক করেন সুষমা। ছবি: সংগৃহীত।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গিহানায় নিহত হয়েছেন সিআরপিএফের ৪৯ জন। সে হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর’র আখ্যা দিয়ে সুষমা বলেন, “ওই আক্রমণ করেছিল পাক মদতেপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।” সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনও রকম আপস করবে না ভারত।”
আরও পড়ুন: ভোরে বিমান হামলা, দিনভর কূটনৈতিক সাফল্য, দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজে দিল্লি
আরও পড়ুন: হামলার জবাবে গোলা পাকিস্তানের, সীমান্তে কোমর বেঁধে প্রস্তুত ভারতও
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় বায়ুসেনার ওই অভিযানের পর ভারত-পাক দু’পক্ষকেই সংযত হওয়ার অনুরোধ করেছিল চিন। গত কাল সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেছিলেন, “আশা করছি ভারত-পাকিস্তান, দু’দেশই সংযত হয়ে এমন পথ বেছে নেবে যা ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে। সেই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হবে।”
(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক খবরজানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy