ইউরোপের দেশগুলি যদি যুদ্ধ শুরু চায়, তবে রাশিয়া প্রস্তুত! এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে মস্কোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূতদের সঙ্গে বৈঠকে সমাধান অধরা থাকলেও পুতিন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইউই) সতর্ক করে রাখলেন!
ক্রেমলিনে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিলেন পুতিন। তবে তার আগে ইউক্রেনের সমর্থক ইউরোপীয় দেশগুলিকে হুমকির সুরে যুদ্ধে প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন তিনি। তবে এ-ও জানান, রাশিয়ার কোনও ইচ্ছা নেই ইউরোপীয় দেশগুলিতে হামলা চালানোর। পুতিনের কথায়, ‘‘যদি ইউরোপ হঠাৎ করে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে চায়, আমরা তার জন্য এখনই প্রস্তুত রয়েছি। ’’
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে বার বার রাশিয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছে ইউরোপের দেশগুলি। ইউক্রেনের পাশে থেকেছে তারা। যুদ্ধের অবসান না-হওয়ার জন্য পুতিনকেই দায়ী করেছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের উদ্বেগের আরও কারণ ব্যক্ত করতে গিয়ে জানিয়েছে, তারা মনে করছে রাশিয়া ইউক্রেনের বাইরেও ‘নিজের সাম্রাজ্য’ বিস্তৃত করতে চায়! বার বার রাশিয়ার ড্রোন আক্রমণ, আকাশসীমা লঙ্ঘন— এমন নানা বিষয় নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে ইউরোপের দেশগুলি। তাদের আশঙ্কা, ইউরোপ জুড়ে নাশকতার ছক কষছে রাশিয়া। ২০২২ সালে রুশ হামলার পর থেকেই ইউক্রেনের সমর্থন করে আসছে ইউরোপের দেশগুলি। অস্ত্র, জ্বালানি, সামরিক পুনর্গঠন বা মানবিক সহয়তা দিয়েছে ইউক্রেন। তবে তার জন্য ইউরোপের দেশগুলির প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা-ও সত্যি!
যদিও পুতিনের মতে, ইউক্রেনকে সামনে রেখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ইউরোপের দেশগুলি। যদি আচমকা হামলা করে তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, ‘‘তাদের (ইউরোপের দেশগুলি) শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা লক্ষ্য নয়। তারা যুদ্ধের পক্ষে। ইউরোপীয়েরা আলোচনার যে খসড়া দিয়েছে, তা রাশিয়ার কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন:
ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত জানিয়েও ক্রেমলিনে ট্রাম্পের দূতদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন পুতিন। বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও পক্ষই খোলসা করেনি। তবে ক্রেমলিনের এক শীর্ষকর্তা ইউরি উশাকভ সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আপসের কোনও জায়গা নেই। তবে আমেরিকার তরফে কিছু বিকল্প সমাধানের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’’ বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলেও দাবি করে মস্কো।