বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন, তাঁর দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান। তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে (সঙ্কটজনক অবস্থায়) চলে গিয়েছেন।’’
রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ-এ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) চিকিৎসাধীন খালেদার শারীরিক পরিস্থিতির রবিবার রাত থেকে অবনতি হয়েছে জানিয়ে আজম বলেন, ‘‘তিনি এখনও ফাইট (লড়াই) করছেন আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য। এখনও অবস্থা ক্রিটিক্যাল (সঙ্কটজনক) আছে। বলবার মতো কোনও অবস্থায় এখনও তিনি আসেননি। সারা জাতির কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছু বলার নেই।’’
আরও পড়ুন:
হাসপাতালের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি, কিডনির সমস্যা ঠিক না-হলে খালেদার শারীরিক অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা কম। ৮০ বছর বয়সি বিএনপি নেত্রীকে দেখতে রবিবার সকাল থেকে ঢাকার হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমেছে দলের নেতা-কর্মীদের। দলের কোনও কোনও নেতা হাসপাতালে ঢুকলেও খালেদার কাছাকাছি কেউ যেতে পারেননি। যেহেতু তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে এবং নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে, তাই চিকিৎসকেরা বাড়তি সতর্ক। কাউকেই তাঁর কেবিনের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
খালেদার কিডনির সমস্যা অনেক পুরনো। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরীক্ষার পর ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সূত্রের খবর, বয়সজনিত কারণে পরিস্থিতি অনেক জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ, তাঁর শরীরে আগে থেকেই একাধিক সমস্যা রয়েছে। একটির চিকিৎসা করতে গেলে অন্য রোগের উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। কিডনির কার্যকারিতা অনেকটা কমে গিয়েছে খালেদার। ফলে টানা চার দিন তাঁর ডায়ালিসিস করাতে হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে খালেদার জ্যেষ্ঠপুত্র তথা বিএনপি-র কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে রয়েছেন। শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি জানান, মাকে দেখার ইচ্ছা থাকলেও এই মুহূর্তে ‘কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে’ তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না।