বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা আরও খানিকটা পিছিয়ে গেল। উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, রবিবারের আগে খালেদা লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হতে পারছেন না। তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করবে কাতার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। তারাই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে এখনও তা ঢাকায় পৌঁছোতে পারেনি।
বিএনপি-র তরফে শুক্রবার সকালে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক সমস্যার কারণে খালেদার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ঢাকায় পৌঁছোতে পারে শনিবার। তার পর সব ঠিক থাকলে রবিবার প্রবীণ নেত্রীকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে তা রওনা হতে পারে। তবে খালেদার শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে, তা-ও বিবেচনা করা হবে। যদি তাঁর শরীর বিদেশযাত্রার জন্য উপযোগী থাকে, তবেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রওনা দেবে।
আরও পড়ুন:
-
বিশ্বের বৃহত্তম তুষার মরুভূমি, তবে গুরুত্বপূর্ণ এক অংশেই নেই বরফ! নয়া গবেষণায় বিপদের শঙ্কা বিজ্ঞানীদের
-
সাত বছরের শিশুর শ্বাসনালিতে আটকে সুচালো পিন! এক ঘণ্টার মধ্যে বার করে দিলেন কলকাতা মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা
-
খালেদাকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানো ঘিরে টানাপড়েনের মধ্যেই প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করল বিএনপি
খালেদার পুত্র তারেক রহমান লন্ডনে থাকেন। তারেকের স্ত্রী তথা চিকিৎসক জুবাইদা রহমান খালেদাকে নিতে ঢাকায় আসছেন। লন্ডন থেকে তিনি বৃহস্পতিবারই রওনা দিয়েছেন। হাসপাতালে খালেদাকে দেখে তিনি তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করবেন এবং লন্ডনযাত্রা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপি-র তরফে জানানো হয়েছে, কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই খালেদার লন্ডন যাওয়া কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে খালেদাকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পর তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আগে থেকেই খালেদার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনির সমস্যা ছিল। হৃদ্যন্ত্রেও সংক্রমণ ধরা পড়়ায় শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, ৮০ বছরের নেত্রীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড খালেদাকে দেখছে। জুবাইদাও সেই বোর্ডের সদস্য বলে খবর। সকলে মিলেই লন্ডনে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খালেদার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে বাংলাদেশের বিএনপি সমর্থকেরা। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও।