এক দিকে আমেরিকার বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লি আমদানি করার রাস্তা খুঁজে ট্রাম্প প্রশাসনকে খুশি রাখতে চাইছে মোদী সরকার। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে অসামরিক পরমাণু সমঝোতার প্রশ্নে কুড়ানকুলাম ছাড়াও দেশের অন্য প্রান্তে পরমাণু প্রকল্প গড়ার চিন্তাভাবনাও এগোচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নয়াদিল্লি সফরে আসছেন। তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকে এই বিষয়টি উঠে আসবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে খবর।
ছোট মাপের পরমাণু চুল্লি তৈরির ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়েও কথা হবে বলেও জানা গিয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রের কাজ কত দূর এগোল তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের চতুর্থ ইউনিটটি বসানোর জন্য পরিকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত কাজ দ্রুত করতে মস্কোর সহায়তা চাওয়া হবে আসন্ন বৈঠকে।
পাশাপাশি মোদী-পুতিন শীর্ষ সম্মেলনে ভারত ও রাশিয়া বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রকল্পে নতুন করে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীকে আরও দু’-তিনটি এস-৪০০ সরবরাহের প্রস্তাব দিতে পারে মস্কো। দিল্লি রাজি হলে রুশ সমরাস্ত্রে নির্ভরতা বাড়বে ভারতের।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় এস ৪০০-র কার্যক্ষমতা নিয়ে বায়ুসেনা সন্তোষ প্রকাশ করে। আদমপুরে মোতায়েন একটি ইউনিট ৩১৪ কিলোমিটার দূর থেকে পাকিস্তানের বিমান গুলি করে নামিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। পাশাপাশি একই সঙ্গে ৩০০-র বেশি বিমানের উপরে নজরদারি এবং পাঁচ মিনিটের কম সময়ে যুদ্ধ-প্রস্তুত হয়ে ওঠার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ব্যবস্থা ভারতের প্রতিরক্ষা জালে ‘ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার’ হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থা রোস্তেক ইতিমধ্যেই নতুন এস ৪০০ চুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)