প্রতীকী চিত্র
শপিং থেকে ফিরছিলেন পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। আচমকাই বিপত্তি। হঠাত্ই যেন মাটি ফুঁড়ে হাজির এক দল লোক। অশ্লীল ভাষায় গালিগলাজ, সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি। কোনওক্রমে রেহাই পান ভারতীয় দূতাবাসকর্মীরা। শেয ৩ দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ভারতীয় কূটনীতিকদের পাকিস্তানে হেনস্থার মুখে পড়তে হল।বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি। যা চলতি বছরেই ইসলামাবাদের কাছে দিল্লির ১২তম অভিযোগ।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগপত্রে গত বৃহস্পতিবারের একটি ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে। সে রাতে ইসলামাবাদের রেস্তোঁরায় পরিবার পরিজনদের নিয়ে খেয়ে ফেরার পথে কূটনীতিকের গাড়ি ধাওয়া করে এক দল মোটরবাইক আরোহী। কিন্তু এরা কারা? ভারতের আশঙ্কা, এরা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের বিশেষ দল।
গোটা ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ যে বাড়ছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দিল্লি বলেছে, ‘‘খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। যদি বেরোতেই হয়, তবে ব্যক্তিগত গাড়ি নয়। ব্যবহার করুন দূতাবাসের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ি।’’
আরও পড়ুন: হেনস্থার প্রশ্ন তুলে সম্মেলনে আসছে না পাক মন্ত্রী
অনেকেই বলছেন, পাকিস্তান- ভারতের সম্পর্কের যে চাপা উত্তেজনা, তা আর সীমান্তের গুলি-গোলায় আটকে নেই। প্রভাব পড়ছে পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিকদের জীবনেও। যদিও পাকিস্থানের গলাতেও একই সুর। ভারতে তাদের কূটনীতিকদের উপর হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তানও। বিষযটি নিয়ে অলোচনার জন্য তারা পাক হাইকমিশনার সোহেল মেহমুদকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
যদিও ভারতের দাবি, পাক কূটনীতিকদের উপর হেনস্থার যে অভিযোগ ইসলামাবাদ তুলেছে, তা মিথ্যে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, চলতি বছরেই পাকিস্তানে ১২ কূটনীতিককে হেনস্থা করা হয়েছে। আগে ব্যাপারটা উপেক্ষা করা হয়েছে ঠিকই। এখন কিন্তু তা চলে গিয়েছে সহ্যের বাইরে।