সিন্ধু বৈঠকে পাকিস্তান গিয়ে জল মাপবে দিল্লি

ইমরান খান সরকার পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সরকারি পর্যায়ে বৈঠক হতে চলেছে দু’দেশের মধ্যে। চলতি সপ্তাহে রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু কমিশনের বৈঠক। ভারতের কূটনৈতিক কর্তারা যাচ্ছেন ইসলামাবাদে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩২
Share:

ইমরান খান

ইমরান খান সরকার পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সরকারি পর্যায়ে বৈঠক হতে চলেছে দু’দেশের মধ্যে। চলতি সপ্তাহে রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু কমিশনের বৈঠক। ভারতের কূটনৈতিক কর্তারা যাচ্ছেন ইসলামাবাদে।

Advertisement

গত মার্চ মাসে সিন্ধু জলবণ্টন নিয়ে দু’দেশের কর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। এটা ঘটনা যে, সামগ্রিক আলোচনা বা অন্য সব রকম আস্থাবর্ধক বৈঠক বন্ধ হয়ে গেলেও সিন্ধু কমিশন নিয়ে আদানপ্রদান চালিয়ে গিয়েছে দু’দেশ। বিদেশ মন্ত্রক বরাবরই বলে এসেছে এই আলোচনা দেশের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই একে বন্ধ করা চলবে না। কিন্তু কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। নতুন সরকার এসেছে পাকিস্তানে। ক্ষমতায় আসার পরই ইমরান বার্তা দিয়েছেন, তিনি দিল্লির সঙ্গে ‘বাধাহীন’ ভাবে আলোচনা চালাতে চান। নভেম্বরে ইসলামাবাদের সার্ক সম্মলনে যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দেন তার জন্যও চেষ্টা শুরু করেছে ইমরান সরকার। মোদীও কিছুটা ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে ইমরানের শপথগ্রহণের দিন তাঁকে চিঠি লিখেছেন।

তবে সামনেই লোকসভা ভোট। তাই এখনই বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে মোদী বন্ধ হয়ে যাওয়া সামগ্রিক আলোচনা শুরু করে দেবেন, এমনও নয়। যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে ইসলামাবাদের পদক্ষেপগুলি দেখে নিতে চাইছেন তিনি। সিন্ধু বৈঠকটির মাধ্যমেও কিছুটা জল মাপার কাজ সেরে নিতে পারবে সাউথ ব্লক।

Advertisement

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীর জলবণ্টন নিয়ে ইসলামাবাদের উপর একটি স্থায়ী চাপ তৈরি করে রাখাটাও ভারতের কৌশলগত উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাঙ্কের তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বারবার সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসন্ন প্রস্তাবিত বৈঠকটি তাই সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement