ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি
দু’দেশ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আর খেপে উঠছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। তাঁর দেশের পরমাণু চুক্তি পরিবর্তন করতে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় জোটের সক্রিয়তা দেখে ক্ষুব্ধ রৌহানি। তিনি বলেছেন, এই চুক্তিতে পরিবর্তন আনার কোনও এক্তিয়ার ওই রাষ্ট্রনেতাদের নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ জানিয়েছেন, তাঁরা নতুন পরমাণু চুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৫ সালের ওই চুক্তিতে আরও নানা শর্ত রাখা নিয়ে কথা হচ্ছে।
মাকরঁ মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ২০১৫ সালের ইরান চুক্তি নিয়ে তাঁদের মতানৈক্য ছিল। ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে কিছু পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তাঁরা একমত হয়েছেন। ট্রাম্পকে এই চুক্তি থেকে সরে না যাওয়ার জন্যও বুঝিয়েছেন মাকরঁ। যদিও কিছু দিন আগে ট্রাম্প হুমকি দেন, ১২ মে-র মধ্যে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ফের নিষেধ না চাপানো হলে সরে যাবে আমেরিকা। তাঁর মতে, ওবামা আমলের ওই চুক্তি ‘হাস্যকর এবং পাগলের চুক্তি’। ইউরোপীয় জোট এবং মার্কিন কংগ্রেসের কাছে চুক্তির ‘বিপজ্জনক ত্রুটি’ দূর করার কথাও বলেন তিনি। মাকরঁর সঙ্গে বৈঠকের পরে অবশ্য সুর কিছুটা নরম ট্রাম্পের। তিনি বলেন, ‘‘দেশের নেতা হিসেবে আপনাকে নমনীয় হতেই হবে।’’ চুক্তিতে এ বার বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইরানের যেখানে যেতে চাইবেন, সেখানেই যেতে দিতে হবে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে।