আচমকা সুর নামিয়ে ইরান ছেড়ে দিল মার্কিন নৌসেনাদের

মার্কিন নৌসেনার আটক সদস্যদের ছেড়ে দিল ইরান। প্রবল চাপের মুখে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল। মঙ্গলবার পারস্য উপসাগরে মার্কিন রণতীরী আটক করে তার ১০ আরোহীকে আটক করেছিল ইরানের নৌসেনা। ইরানের জলসীমায় ঢুকে মার্কিন রণতরী গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছিল বলে তেহরান দাবি করেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৬ ১৭:২০
Share:

মার্কিন নৌসেনার আটক সদস্যদের ছেড়ে দিল ইরান। প্রবল চাপের মুখে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল। মঙ্গলবার পারস্য উপসাগরে মার্কিন রণতীরী আটক করে তার ১০ আরোহীকে আটক করেছিল ইরানের নৌসেনা। ইরানের জলসীমায় ঢুকে মার্কিন রণতরী গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছিল বলে তেহরান দাবি করেছিল। কিন্তু আমেরিকার দাবি, কুয়েত থেকে বাহরিন যাওয়ার পথে খারাপ হয়ে গিয়েছিল রণতরীটি। গুপ্তচরবৃত্তি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।

Advertisement

ইরান বুধবারের মধ্যেই মার্কিন নৌবাহিনীর সদস্যদের মুক্তি দেবে বলে পেন্টাগন আগেই জানিয়েছিল। তবে তেহরান তেমন কোনও আশ্বাস দিতে রাজি হচ্ছিল না। মার্কিন রণতরীটি মঙ্গলবার ফারসি আইল্যান্ডের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বলে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানায়। এই ফারসি আইল্যান্ড হল ইরানের বৃহত্তম নৌঘাঁটিগুলির অন্যতম। মার্কিন রণতরীকে অত্যন্ত দ্রুত বেগে সেই নৌঁঘাটির দিয়ে এগিয়ে যেতে দেখেই ইরানের নৌবাহিনী ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস নেভি’ সতর্ক হয়ে যায়। সব দিক দিয়ে ঘিরে ফেলে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় মার্কিন নৌসেনার রণতরীটিকে। ১০ আরোহী সহ রণতরীটিকে আটক করা হয়। ইরানের দাবি, তাদের জলসীমার প্রায় ২ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল মার্কিন রণতরীটি। ইরানের রণসজ্জা খবর গোপনে সংগ্রহ করতে ওই এলাকায় মার্কিন রণতরী প্রায়ই হানা দেয় বলেও তেহরান দাবি করে।

আরও পড়ুন:

Advertisement

ইরানকে পঙ্গু করে সবটুকু ইউরেনিয়াম নিয়ে গেল আমেরিকা

আমেরিকা অবশ্য জানায়, পারস্য উপসাগরে মার্কিন নৌসেনার রণতরী যেমন রুটিন টহলদারি চালায়, মঙ্গলবারও তাই চলছিল। রণতরীটি কুয়েত থেকে বাহরিন যাচ্ছিল। পথে যান্ত্রিক গোলোযোগে সেটি খারাপ হয়ে যায়। ইরানের জলসীমায় ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয়নি। তবে তেহরানের তরফে আমেরিকার সেই কথা মানা হয়নি। ইরানের নৌসেনা জানায়, মার্কিন রণতরী থেকে জিপিএস যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। ওই জিপিএস-এর কার্যকলাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, ইরানের জলসীমায় ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তিই চালাচ্ছিল মার্কিন রণতরী। আস্ফালন সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত দ্রুত সুর নামিয়ে নিল ইরান। পেন্টাগন যেমন জানিয়েছিল, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বুধবারের মধ্যেই মার্কিন নৌসেনার ১০ সদস্যকে ছেড়ে দিল তেহরান। সূত্রের খবর কূটনৈতিক স্তরে ইরানের উপর প্রবল চাপ তৈরি করেছিল আমেরিকা। ইরান এই পদক্ষেপ না নিলে পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা আচমকা বাড়তে পারত। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement