আরও একটি গ্রামের দখল নিল আসাদ বাহিনী। ছবি: এএফপি
চার বছর আগে চলে গিয়েছিল জঙ্গিদের হাতে। পূর্ব আলেপ্পোর সব চেয়ে বড় সেই জেলার দখল নিয়েছে আসাদপন্থী সেনা। মাসাকেন হানানো নামে ওই জেলায় এখন শয়ে শয়ে সিরীয় নাগরিক ভিড় জমাচ্ছেন নিরাপত্তার খোঁজে। এর মধ্যেই আবার রবিবার সিরিয়ার উত্তরে আল-রাই শহরে আইএস আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। তাতে জখম ১২ জনের মধ্যেও বেশির ভাগ শিশু। তুরস্কের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের।
লড়াই চলছে গত ১৫ নভেম্বর থেকে। এই প্রথম জঙ্গিদের হাত থেকে কোনও বড় মাপের অংশের দখল নিতে সমর্থ হল প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সেনা। ওই জেলায় তারা ঢুকে পড়ে শনিবার রাতেই। মাসাকেন হানানো ছাড়াও আশপাশে দুই জেলা হাইদারিয়া এবং শাকুরে রাত থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। আজও সেই অভিযান চলেছে পুরোদমে।
সিরিয়ার পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধে পূর্ব আলেপ্পোই বেশি বিধ্বস্ত। বেশির ভাগ এলাকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রুশ বিমানবাহিনীর সাহায্যে আসাদ সেনা এই অংশ পুনর্দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিরিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, টানা সংঘর্ষে বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। খাবার, পানীয়, জ্বালানি, ওষুধ— অত্যাবশ্যকীয় কিছুই না পেয়ে ধুঁকছেন সাধারণ মানুষ। সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স রেসকিউ গ্রুপ-এর দাবি, শনিবারের সংঘর্ষের পরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৬ জন। শুধু শনিবারই বিমান থেকে হামলা চলেছে ১৫০ বার। ২৫০০ শেলের আঘাতে বিপর্যস্ত পূর্ব আলেপ্পো।
অভিযোগ উঠেছে গত দু’সপ্তাহে ফের রাসায়নিক হামলারও। অথচ জখমদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের চিহ্ন বলতে গেলে প্রায় মুছেই গিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্তে উঠে এসেছে, গত অগস্টে আসাদের সেনা এবং আইএস জঙ্গি, দু’দিক থেকেই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে।