‘যৌন জেহাদ’-এ না, মসুলে ২৫০ মহিলাকে হত্যা করল আইএস

হয় ভোগে লাগ। নয় তো... ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিদের এই শাসানিতেও রাজি না হওয়ায় ইরাকের মসুল শহরে প্রাণ গেল ২৫০ জন মহিলার। উত্তর ইরাকে আইএস বিরোধী কুর্দ প্রশাসনের তরফে এই কথা জানান হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৪২
Share:

হয় ভোগে লাগ। নয় তো...

Advertisement

ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিদের এই শাসানিতেও রাজি না হওয়ায় ইরাকের মসুল শহরে প্রাণ গেল ২৫০ জন মহিলার। উত্তর ইরাকে আইএস বিরোধী কুর্দ প্রশাসনের তরফে এই কথা জানান হয়েছে।

আইএস ঝড়ের সামনে ২০১৪-র জুনে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলের পতন হয়। তার পরেই বাকি ইরাক থেকে পৃথক হয়ে যায় এই শহর। এখানে আলাদা প্রশাসন গড়ে তুলেছে আইএস। ইরাক ও সিরিয়ায় নিজেদের অধীনস্থ এলাকা ক্রমে সঙ্কুচিত হয়ে এলেও এখনও মসুলে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পেরেছে আইএস। আর আইএস-এর কর্তৃত্ব মানেই নারীর অধিকারের দফারফা। রাস্তায় বেরনো মানা। মানা নিজের স্বামী বাছার অধিকারেও। হাজারো নিয়মের বাঁধনে জর্জরিত জীবন।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্থানীয় জঙ্গিদের নিয়ে ভারতে হামলার ফন্দি এঁটেছে আইএস!

কিন্তু মহিলাদের শুধু নিয়মের বাঁধনে বেঁধেই ক্ষান্ত থাকেনি আইএস। মহিলাদের উপরে যৌন অত্যাচারকেও অন্য স্তরে তুলে নিয়ে গিয়েছে তারা। বিশেষত মহিলারা শিয়া বা কোনও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর হলে তো কথাই নেই। প্রথমে মহিলাদের বন্দি করা। তার পরে বয়স অনুযায়ী কার কী গতি হবে ঠিক করা। এমনকী মহিলাদের নিয়ে হাটে কেনাবেচাও চলেছে। মসুলেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

কুর্দ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মহিলাদের অস্থায়ী ভাবে জঙ্গিদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত। তার পরে চলত যৌন অত্যাচার। আইএস এর নাম দিয়েছিল যৌন জেহাদ। ভোগ শেষ হলে অন্য জঙ্গির হাতে তুলে দেওয়া হত। ২৫০ জন মহিলা এই অত্যাচারে অংশ নিতে রাজি হননি। ফলে তাঁদের হত্যা করেছে আইএস। শুধু মহিলারাই নন, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করা হয়েছে।

ইরাকি অভিযানের শুরুতে আইএস শিনজার অঞ্চল থেকে প্রায় ৫০০ ইয়াজিদি মহিলাকে অপহরণ করেছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকেই যৌন ক্রীতদাসীর জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন