শেষের সে দিনের দোরগোড়ায় পৃথিবী?

ধ্বংসের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে পৃথিবী? নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, আর মাত্র তিন মিনিটের দূরত্ব। ঘড়ির কাঁটা ঠিক রাত ১১টা বেজে ৫৭ মিনিটে দাঁড়িয়েছে। ১২টা বাজতে মাত্র তিন মিনিট বাকি। রাত ১২টা বাজার অর্থই হল পৃথিবীর ধ্বংস। ডুমস্‌ডে ক্লক সে কথাই বলছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:৪৩
Share:

ধ্বংসের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে পৃথিবী? নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, আর মাত্র তিন মিনিটের দূরত্ব। ঘড়ির কাঁটা ঠিক রাত ১১টা বেজে ৫৭ মিনিটে দাঁড়িয়েছে। ১২টা বাজতে মাত্র তিন মিনিট বাকি। রাত ১২টা বাজার অর্থই হল পৃথিবীর ধ্বংস। ডুমস্‌ডে ক্লক সে কথাই বলছে।

Advertisement

ডুমস্‌ডে ক্লক— পৃথিবীর শেষ দিনের প্রতীক এই ঘড়ি। আমাদের গ্রহকে ঘিরে ঘনিয়ে ওঠা নানা বিপদের মাত্রা অনুযায়ী চলাফেরা করে এই ডুমস্‌ডে ক্লকের কাঁটা। মঙ্গলবার রাতে ‘বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস’ জানিয়েছে, ডুমসডে ক্লকের কাঁটা এখন রাত ১১টা বেজে ৫৭ মিনিটে। ১৬ জন নোবেলজয়ী-সহ বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং বিদ্বজ্জনদের নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল প্রতি বছর নির্ধারণ করেন, ডুমস‌্‌ডে ক্লকের কাঁটা ঠিক কোথায় থাকবে। ১৯৪৭ সাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। ১৯৫৩ সালে এই ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাতের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল— ১১টা ৫৮ মিনিটে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বদলাতে থাকায় সেই কাঁটা আবার পিছোতে পিছোতে ১৯৯১ সালে ১১টা ৪৩মিনিটেও চলে আসে। পরিস্থিতি ফের ঘোর বিপদের পথে। তাই গত ২০ বছরের মধ্যে এ বার ডুমস্‌ডে ক্লকের কাঁটা পৃথিবী ধ্বংসের ক্ষণের সবচেয়ে কাছে পৌঁছল।

আরও পড়ুন:

Advertisement

২০০০ পরমাণু বোমা বানাতে পারে ভারত, রিপোর্টে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান

রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে ডুমস্‌ডে ক্লকের কাঁটা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন, সে ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে ‘বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্সেস’-এ। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের হুঙ্কার, সঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়ন— এই সব কিছু মাথায় রেখে ক্লক প্যানেলিস্টরা মনে করেছেন, এই প্রবণতা না থামলে পৃথিবী তার ধ্বংসের খুব কাছে।

আমরা কি ঘড়ির কাঁটাটাকে আবার পিছিয়ে দিতে পারব?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন