ছবি:সংগৃহীত।
টানাপড়েন যত ট্রাম্প টাওয়ার ঘিরেই।
ভোটের আগে ক্রেমলিন-ঘনিষ্ট রুশ আইনজীবী নাতালিয়া ভেসেলনিৎস্কায়ার সঙ্গে এখানেই বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প-পুত্র। ব্যাপারটা চেপে যেতেই চেয়েছিল প্রেসিডেন্ট শিবির। কিন্তু গত মাসে এক মার্কিন দৈনিক ওই বৈঠকের কথা ফাঁস করে দেওয়ায় বিবৃতি দিতে বাধ্য হন জুনিয়র ট্রাম্প। এ বার সেই বিবৃতিটাও আগাগোড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাতলে দেওয়া বলে আজ দাবি করল একাধিক সংবাদমাধ্যম।
তবে যে প্রেসিডেন্ট-পুত্র বলে আসছিলেন, তাঁর বাবা এই বৈঠকের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না! শুধু বাবার দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই ট্রাম্প যে এমন আগাম তৎপরতা দেখিয়েছিলেন, তা মানতে নারাজ কূটনীতিকদের একাংশ।
আজ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারা প্রথমে ঠিক করেছিলেন সত্যিনির্ভর বিবৃতিই দেওয়া হবে সংবাদমাধ্যমকে। যাতে পরে এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন না ওঠে। কিন্তু ৮ জুলাই জি-২০ বৈঠক সেরে ট্রাম্প দেশে ফিরতেই বদলে যায় সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প শিবিরের তরফে জানানো হয়, ভোট নিয়ে কোনও কথাই হয়নি রুশ আইনজীবীর সঙ্গে।
অথচ তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের বোমা ফাটায় ওই দৈনিকটি। যাতে বলা হয়, ওই বৈঠক অন্তত মাসখানেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। মধ্যস্থতা করেছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ সাংবাদিক রব গোল্ডস্টোন। প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয় যে, ওই বৈঠকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকে ঘায়েল করার যথেষ্ট রসদ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে জেনেই আলোচনায় রাজি হয়েছিলেন ডোনাল্ড-পুত্র। চাপের মুখে পড়ে তা স্বীকারও করে নেন ট্রাম্প-পুত্র। ওই বৈঠক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ট্রাম্প জুনিয়র, ম্যানাফোর্ট এবং কুশনারকে এক বার ডেকে পাঠিয়েছে মার্কিন সেনেট। আজ ট্রাম্পের লিখে দেওয়া বিবৃতির খবর ফাঁস হতেই ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প শিবির।