—প্রতীকী ছবি।
উত্তর পাকিস্তানের চিত্রল শহর থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একটি বিমান। খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক প্রথমে জানিয়েছিল, বিমানটিতে ৪৭ জন আরোহী ছিলেন। কিন্তু পিআইএ পরে জানিয়েছে, বিমানে মোট ৪১ জন ছিলেন। আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই বলে পাকিস্তানের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এটিআর-৪২ টার্বোড্রপ বিমানটি এর পর দীর্ঘ ক্ষণ নিখোঁজ ছিল। পরে খবর পাওয়া যায়, খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি পার্বত্য এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে। অ্যাবটাবাদ জেলার হাভেলিয়াঁ শহরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে দুর্ঘটনাস্থলের দূরত্ব প্রায় ১২৫ কিলোমিটার।
হাভেলিয়াঁ এলাকার এক সরকারি কর্তা তাজ মুহাম্মদ খান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘সব আরোহীর দেহই এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে কাউকেই চেনা যাচ্ছে না। ধ্বংসাবশেষ চার দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।’’ বিমানটি একটি পাহাড়ের ঢালে আছড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু মাঝ আকাশেই সেটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাস্তায় ধসে তলিয়ে গেল দুই গাড়ি, এক প্রাণ
এক সময়ের জনপ্রিয় পাকিস্তানি পপ গায়ক জুনেইদ জামশেদ ওই বিমানে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সাম্প্রতিক কালে অবশ্য জুনেইদ জামশেদ ধর্মপ্রচারক হিসেবেই বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরোহীদের দেহ সাংঘাতিক ভাবে পুড়ে যাওয়ায়, কাউকেই এ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। চিত্রল থেকে ইসলামাবাদগামী ওই বিমানটিতে বেশ কয়েক জন বিদেশী নাগরিক ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।