Israel-Hamas Conflict

গাজ়ার হাসপাতালের নীচে সুড়ঙ্গ! বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের পর ইজ়রায়েলের দাবি, ওখানেই আছে বন্দিরা

গাজ়ার হাসপাতালের নীচে হামাসের সুড়ঙ্গ! বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের পর ইজ়রায়েলের দাবি, ওখানেই আছে বন্দিরা

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:১৫
Share:

ইজ়রায়েলি সেনার মৃতদেহ নিয়ে মিছিল। ছবি: রয়টার্স।

গাজ়ার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফার নীচে হামাস তৈরি করেছে সুবিস্তৃত সুড়ঙ্গপথ। ভূখণ্ডের আরও দু’টি হাসপাতালকে ঢাল করেও নাকি এই কাজ করেছে প্যালেস্টাইনী সশস্ত্র সংগঠনটি। এমনই দাবি করেছে ইজ়রায়েলের সেনা। শুধু তাই নয়, ইজ়রায়েলের দাবি, এই সুড়ঙ্গের ভিতরেই কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে হামাসের হাতে অপহৃত পণবন্দিদের। তবে সুড়ঙ্গের খোঁজ পেলেও পণবন্দিদের এখনও কাউকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পায়নি তারা।

Advertisement

শুক্রবার ইজ়রায়েলি সেনা দাবি করেছে যে, আল-শিফা হাসপাতাল চত্বর থেকে তারা ৬৫ বছরের বৃদ্ধা ইয়েহুডিট ওয়েসের দেহ উদ্ধার করেছে। ইজ়রায়েলের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা ছোটদের একটি স্কুল চালাতেন বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। সেনার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ওই বৃদ্ধাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস। বৃদ্ধার স্বামীকে ওই দিনই হত্যা করা হয়।

ইজ়রায়েল দাবি করেছে, মৃতদেহটির পাশে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে ছিল। ২৪০ জন বন্দির মধ্যে ওই বৃদ্ধাও এক জন বলে দাবি করেছে ইজ়রায়েল। যদিও হামাস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এই আবহেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে, পণবন্দিদের আল-শিফা হাসপাতাল চত্বরে রাখা হয়েছে। আমরা হাসপাতালে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছি, এটাই তার অন্যতম কারণ।”

Advertisement

গাজ়ার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার আস্ত একটি ভবনকে নিজেদের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করছিল হামাস! সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বুধবার এমনটাই দাবি করে ইজ়রায়েলি সেনা। নিজেদের দাবির সপক্ষে একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করে তারা। ভিডিয়োয় দেখা যায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করছেন সেনা আধিকারিকেরা। যদিও কোনও সংবাদ সংস্থা কিংবা আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য বলছে, আল-শিফা হাসপাতালে এই মুহূর্তে অন্তত ২,৩০০ জন রোগী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশুও। প্যালেস্টাইনের সাধারণ নাগরিকেরাও কেউ কেউ যুদ্ধ চলাকালীন সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ইজ়রায়েলের হামলার আতঙ্কে সিঁটিয়ে আছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল-হামাস সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথম বারের জন্য সক্রিয় হয়ে ‘মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতি’ এবং ‘হামাসের হাতে পণবন্দিদের দ্রুত মুক্তি’র সপক্ষে প্রস্তাব পাশ করায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। যদিও ইজ়রায়েল এই প্রস্তাবকে ‘বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিহীন’ বলে দাবি করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন