গাজায় হামলা স্থলপথেও, বাড়ছে মৃত্যু

আন্তর্জাতিক চাপ হেলায় উড়িয়ে সংঘর্ষ-বিরতির পর আরও জোরালো ভাবেই সংঘর্ষে ফিরল ইজরায়েল। গত ন’দিন ধরে ক্রমাগত বিমান ও রকেট হামলার পর বৃহস্পতিবার রাতেই স্থলপথে অভিযানে নামল ইজরায়েলি সেনা। কাল রাত থেকে আজ সকালের মধ্যেই দুই শিশু-সহ নিহত অন্তত ২৭ প্যালেস্তাইনি। সূত্রের খবর, হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক ইজরায়েলি সেনাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গাজ়া শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০৩:৫৮
Share:

বিপন্ন শৈশব। হাসপাতালে জখম প্যালেস্তাইনি শিশু। ছবি: এএফপি।

আন্তর্জাতিক চাপ হেলায় উড়িয়ে সংঘর্ষ-বিরতির পর আরও জোরালো ভাবেই সংঘর্ষে ফিরল ইজরায়েল। গত ন’দিন ধরে ক্রমাগত বিমান ও রকেট হামলার পর বৃহস্পতিবার রাতেই স্থলপথে অভিযানে নামল ইজরায়েলি সেনা। কাল রাত থেকে আজ সকালের মধ্যেই দুই শিশু-সহ নিহত অন্তত ২৭ প্যালেস্তাইনি। সূত্রের খবর, হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক ইজরায়েলি সেনাও।

Advertisement

সব মিলিয়ে গত দশ দিনে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষে গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬০। আহত অন্তত ২০০। প্যালেস্তাইনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, হতাহতদের বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক। ইজরায়েলি সেনা সূত্রে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত আড়াইটে নাগাদ অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সীমান্ত পেরিয়ে একের পর এক ঢুকতে থাকে ট্যাঙ্ক। তার আগে গাজার অন্তত চোদ্দটি জায়গায় লিফলেট ছড়িয়ে এলাকা খালি করার কথা বলা হয় প্যালেস্তাইনিদের।

পরিস্থিতির ভয়াবহতায় নড়েচড়ে বসেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশেষ বৈঠকে বসছে তারা। শান্তি চেয়ে ইজরায়েলকে ফের বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুন। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবশ্য এখনও নিজের অবস্থানেই অনড়। সেনাকে আরও সর্বাত্মক হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রক সূত্রে দাবি, সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষণার অব্যবহিত পরেই দক্ষিণ ইজরায়েলে বেশ কয়েক বার হামলা চালিয়েছে হামাস। অভিযোগ ওঠে, বিরতির সুযোগ নিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে হামাসের সশস্ত্র বাহিনী। তাদের নিরস্ত্র করার পর বাধ্য হয়েই স্থলপথে সেনা পাঠানো হয় বলে দাবি ইজরায়েলি প্রশাসনের।

Advertisement

সংঘর্ষের চতুর্থ দিনেই সেনা পাঠিয়ে গাজা দখলের হুমকি দিয়েছিল ইজরায়েল। প্রশাসন সূত্রে তখনই বলা হয়েছিল, স্থলপথে অভিযানের জন্য ৪০ হাজার সেনা প্রস্তুত রেখেছে ইজরায়েল। দু’বছর আগে গাজা দখলে রাখতে যত সেনা পাঠানো হয়েছিল, এ বার সংখ্যাটা তার থেকেও ১০ হাজার বেশি। বৃহস্পতিবার ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে সেই হুমকিই বাস্তবে পরিণত করলেন নেতানিয়াহু।

রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব মেনে গত কাল ছিল মাত্র ঘণ্টা পাঁচেকের সংঘর্ষ-বিরতি। হামাস সংঘর্ষ জারি রাখলেও স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত রকেট হামলা বন্ধ রেখেছিল ইজরায়েল। তাদের দাবি, সংঘর্ষ-বিরতির সময়ও উস্কানি দেওয়া বন্ধ করেনি হামাস। নেতানিয়াহুকে ‘ভিতু’, ‘কাপুরুষ’ বলে হুমকি দিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি। অন্য এক মুখপাত্র বলেছেন, “এর খেসারত দিতে হবে ইজরায়েলকেই। সেনা অভিযান শুরু করল ওরাই। খুব ভাল কথা। কিন্তু এর ফল কী হতে পারে ওরা নিজেরাই জানে না।’’ বিরতির পর সন্ধ্যে ছ’টায় পূর্ব গাজার একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজরায়েল। এই হামলায় তিনটি শিশু নিহত হয়েছে বলে দাবি প্যালেস্তাইনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।

রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে শুরু করে বিশ্বশক্তির একটা বড় অংশ যখন ইজরায়েলের তরফে সংঘর্ষ বিরতি চাইছে, জার্মানি কিন্তু গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজরায়েলেরই পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল আজই এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “গাজায় হামাসরা আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। অনেক বেশি আধুনিক অস্ত্র-ক্ষেপণাস্ত্র আজ ওদের হাতে। আক্রান্ত দু’পক্ষই। তবু আত্মরক্ষার প্রশ্নে আমরা ইজরায়েলের পাশে। নিজেদের বাঁচাতে ইজরায়েল যে আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে তার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন আছে।”

‘অপারেশন প্রোটেকটিভ এজ’ শুরুর দিন থেকে এই ‘আত্মরক্ষা’র কথাই বলে আসছেন নেতানিয়াহু। তাঁর সেনাবাহিনীর দাবি, হামাস-সহ প্যালেস্তাইনের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনকে জব্দ করতেই এই আক্রমণ। দেশের দক্ষিণ প্রান্তের সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না।

ম্যান্ডেলার ছবি ফেরত চান লিও

সংবাদ সংস্থা • নিউ ইয়র্ক

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও বলছেন, ছবিটা তাঁর। তাঁকে ফেরত দেওয়া হোক। নিলাম সংস্থা বলছে, ছবিটা তাদের হাতে এসেছে। লিওনার্দো চাইলে ছবিটা কিনে নিন। এই নিয়ে তরজা। ‘ব্লাড ডায়মন্ড’ ছবির শু্যটিং করতে গিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন লিও। ছবিটা তখনই তোলা। পরে নিজে হাতে শুভেচ্ছা-বার্তা লিখে ছবি লিও-কে পাঠিয়েছিলেন ম্যান্ডেলা। কিন্তু শেষ অবধি সেটা লিওর হাতে পৌঁছয়নি। বেহাত হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন