ঘনিষ্ঠ ছবি ফাঁসের হুমকি জেফকে

মার্কিন ট্যাবলয়েড ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’ হুমকি দিচ্ছে আমাজ়ন গোষ্ঠীর সিইও ও মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর মালিক জেফ বেজ়োসকে

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১৫
Share:

মার্কিন ট্যাবলয়েড ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’ হুমকি দিচ্ছে আমাজ়ন গোষ্ঠীর সিইও ও মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর মালিক জেফ বেজ়োসকে। বৃহস্পতিবার জেফ নিজেই বলেছেন, তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন টিভি উপস্থাপিকা লরেন স্যাঞ্চেজ়ের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে ট্যাবলয়েডটি।

Advertisement

এর আগে লরেনের সঙ্গে জেফের ব্যক্তিগত কথোপকথন এবং বেশ কিছু ছবি হাতে এসেছিল ওই ট্যাবলয়েডের। কী ভাবে তারা সে সব জোগাড় করল, তার তদন্ত শুরু করেছিলেন জেফ। সেই তদন্তে বাধা দিতেই এই হুমকি বলে জানিয়েছেন আমাজ়ন সিইও। সম্প্রতি অনলাইন একটি পোর্টালে জেফ দাবি করেছেন, ট্যাবলয়েডটি চেয়েছিল, তিনি সংবাদমাধ্যমে মিথ্যে বিবৃতি দিন। লরেনের সঙ্গে সম্পর্কের খবর ফাঁসে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না, বা কোনও রাজনৈতিক দল এতে মদত দেয়নি— এই মর্মে তাঁকে মিথ্যে বিবৃতি দিতে বলা হয়েছিল বলে সিইও-র দাবি। জড়ানো হয় তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা গ্যাভিন ডি বেকারের নামও। কিন্তু জেফ তেমন বিবৃতি দিতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন। উল্টে ট্যাবলয়েডটি তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা গ্যাভিনকে যে সব ইমেল পাঠিয়েছিল, তা ফাঁস করে দেন জেফ। তাতে হুমকি দিয়ে লেখা রয়েছে, লরেনের সঙ্গে জেফের ঘনিষ্ঠ অস্বস্তিকর ছবি প্রকাশ করবে ট্যাবলয়েডটি।

বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজ়োসের সঙ্গে যে ট্যাবলয়েড লড়াইয়ে নেমেছে, সেটি আবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগামী। জেফ আর তাঁর স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি ২৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানতে চলেছেন, সে খবর প্রকাশিত হয় গত ৯ জানুয়ারি। তার দু’দিন আগেই ট্যাবলয়েডটি লরেনের সঙ্গে জেফের সম্পর্ক নিয়ে খবর ছাপা হবে বলে জানিয়েছিল জেফকে। কী ভাবে তাদের কাছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সংক্রান্ত গোপন তথ্য পৌঁছে গেল, তার তদন্ত শুরু করান জেফ। এই সময়েই তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা গ্যাভিন একটি দৈনিকে দাবি করেন, ট্যাবলয়েডটি যে ভাবে জেফের সম্পর্ক ফাঁস করতে উঠেপড়ে লেগেছে, তার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে। জেফ-গ্যাভিন জানতে পারেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লোকজনের হাত রয়েছে এতে।

Advertisement

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যে সব দৈনিককে সহ্য করতে পারেন না, সেই তালিকায় নাম উঠেছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর। তিনি সুযোগ পেলেই এই দৈনিকের ঘাড়ে ভুয়ো খবর প্রচারের দায় চাপিয়ে থাকেন। তা ছাড়া, জেফের দাবি, জামাল খাশোগির হত্যা নিয়ে যে ধরনের ‘আপসহীন’ প্রতিবেদন একের পর এক এই দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে, তা-ও অনেকের পছন্দ হয়নি। সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের নির্দেশেই খাশোগি হত্যার অসংখ্য প্রমাণের কথা প্রকাশ্যে আসা সত্ত্বেও ট্রাম্প বরাবর সে দাবি নস্যাৎ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন