Kabul Airport

Kabul Attack: কাবুলে হত মেরিনস কমান্ডোও? হামলা শুনেই ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক স্থগিত বাইডেনের

আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, বিস্ফোরণে আমেরিকার ৪ মেরিনস কমান্ডোর মৃত্যু হয়েছে। হামলার জন্য আইএস জঙ্গিরা দায়ী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২১ ২৩:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।

হোয়াইট হাউসে তখন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল। সে সময়ই কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেট থেকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর মেলে। পত্রপাঠ বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন। দ্রুত নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের কাছে সর্বশেষ পরিস্থিতির খোঁজ নিতে শুরু করেন

কিছুক্ষণ পরেই বিমানবন্দরের অদূরে ব্যারন হোটেলের সামনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। সেই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর খবর। ফলে আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায় এক লহমায়। কারণ, বিমানবন্দরের প্রবেশপথ এবং বেড়ার পাশে নোংরা নালায় ভিড় ছিল আফগান আমজনতার। তালিবানের কাবুল দখলের পর প্রাণভয়ে যাঁরা দেশ ছাড়তে মরিয়া। কিন্তু ওই তারকা হোটেলেই ঠাঁই নিয়েছেন আফগানিস্তানে থেকে যাওয়া আমেরিকার নাগরিকদের অনেকে।

Advertisement

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি টুইটারে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হানায় অসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি আমেরিকানদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, বিস্ফোরণে আমেরিকার ৪ মেরিনস কমান্ডোর মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি খবরে দাবি, তিন জন মেরিনস আহত হয়েছেন বিস্ফোরণে। এই নাশকতার পিছনে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস)-এর হাত রয়েছে বলেই জানিয়েছে ওয়াশিংটন এবং তালিবান।

বুধবারই আমেরিকার একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে কাবুল বিমানবন্দরে আইএস হামলার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। জারি হয়েছিল, নিরাপত্তাজনিত সতর্কতাও। প্রসঙ্গত, পশ্চিম এশিয়ায় সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর আফগানিস্তান শাখা ‘কট্টর তালিবান-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক বছরে আইএস-এর হামলায় বিস্ফোরণে বেশ কিছু তালিব জঙ্গির মৃত্যুও হয়েছে। আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির অনুগত এই বাহিনী সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের একাংশ নিয়ে ঐতিহাসিক খোরাসান অঞ্চলে নয়া ইসলামিক রাষ্ট্র গড়তে চায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন