মাত্র চল্লিশ দিনের ব্যবধান।
ফের কূটনৈতিক সফরে চিনে গেলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রথম বিদেশ সফরে চিনের মাটিতেই পা রেখেছিলেন এই শাসক। গত মার্চের শেষে। গত কাল আচমকাই ফের চিন সফরে যান তিনি। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া জানাচ্ছে, গত কাল আর আজ, এই দু’দিনে কিমের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের। সমুদ্রের ধারে দুই রাষ্ট্রনেতার পাশাপাশি হাঁটার ছবিও প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগেই কিমের এই সফর নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও অর্থনৈতিক সঙ্গী চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতেই কিমের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন অনেকে।
উত্তর-পূর্ব চিনের লিয়াওনিং প্রদেশের সৈকত শহর ডালিয়ান। পাহাড়-সমুদ্রে ঘেরা ছবির মতো এই শহরেই কাল নামে কিমের ব্যক্তিগত বিমান। সঙ্গে ছিলেন সরকারি কিছু আধিকারিক। কিমকে স্বাগত জানান চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। পরে ব্যাঙ্কোয়েট বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার শাসককে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। এই সফর নিয়ে শুরু
থেকেই ছিল গোপনীয়তা। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কালই জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার আকাশে এমন বিমান উড়তে দেখা গিয়েছে, যাতে সাধারণত দেশের শীর্ষ নেতারাই বিদেশ সফর করেন। কিম কোথায় গিয়েছেন, সে নিয়ে তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা।
আজ বৈঠক শেষে শি চিনফিং বলেন, ‘‘কমরেড চেয়ারম্যানের (কিম) সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পরেই দু’দেশের সম্পর্ক সদর্থক পথে এগোচ্ছে। কোরীয় উপদ্বীপও এখন অনেকটাই শান্ত। আমি এতে খুশি।’’ শি জানান, সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কিমের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চান তিনি। তাঁর বক্তব্য, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে যে ভাবে কিম উদ্যোগী হয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। এক সুর কিমের মুখেও। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এ সবই হল আমার আর কমরেড শি-এর ঐতিহাসিক বৈঠকের সুফল!’’ কিম-শি বৈঠকের খবর শুনেই টুইট করেছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, ‘‘বন্ধু শি চিনফিংয়ের সঙ্গে আজ সকালেই ফোনে কথা বলব। ব্যবসা নিয়েই কথা হবে। আর উত্তর কোরিয়া— যেখানে সম্পর্ক আর বিশ্বাস তৈরি হচ্ছে।’’ এ মাসের শেষেই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে কিমের।