usa

ল্যাপটপ বিতর্কে নাম রো-বিজয়ার

গত কাল ম্যাট টাইবি নামে এক সাংবাদিক ও লেখক টুইটারেই বিস্ফোরক দাবি করেন যে, ২০২০ সালে হান্টারের ল্যাপটপ সংক্রান্ত খবর প্রকাশে বাধা দিয়েছিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সান ফ্রান্সিসকো শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:২৯
Share:

আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল চিত্র।

আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের একটি ল্যাপটপকে কেন্দ্র করে দু’বছর আগের বিতর্ক আবার শিরোনামে। আর তাতে এ বার নাম জড়াল ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই আমেরিকানের। এঁদের মধ্যে এক জন হলেন ডেমোক্র্যাট নেতা তথা আমেরিকান হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের সদস্য রো খন্না এবং অন্য জন অ্যাটর্নি বিজয়া গাড্ডে।

Advertisement

যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত ২০২০ সালের অক্টোবরে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এক প্রথম সারির আমেরিকান দৈনিক তৎকালীন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনেরে ছেলে হান্টারের ল্যাপটপকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, হান্টার ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনের একটি দোকানে নিজের ল্যাপটপ সারাতে দিয়েছিলেন হান্টার। নির্দিষ্ট ওই ল্যাপটপে কিছু ই-মেল ছিল, যেখান থেকে এটা প্রমাণ করা যেতে পারে যে, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন হান্টারের বাবা জো বাইডেন। পরে ওই দোকানের কর্মচারী জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে ল্যাপটপটি দিয়ে যাওয়ার পরে আর সেটি ফেরত নিতে আসেননি হান্টার। ওই দৈনিকের প্রতিবেদন নিয়ে সেই সময়ে হইচই শুরু হওয়ায় বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে পৌঁছয়। তবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছিলেন, ওই ল্যাপটপ শুধুমাত্র হান্টার একা ব্যবহার করেননি। ফলে সেখান থেকে ফরেন্সিক নমুনা পাওয়া খুবই মুশকিল। ভোটের আগে বিষয়টি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই দৈনিক অবশ্য পরে জানিয়েছিল যে, ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ লোকজনই তাদের ওই ই-মেলগুলি সম্পর্কে জানিয়েছিল। এমনকি ওগুলি থেকে বাইডেনের দুর্নীতি আদৌ প্রমাণ করা সম্ভব কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় ছিল।

গত কাল ম্যাট টাইবি নামে এক সাংবাদিক ও লেখক টুইটারেই বিস্ফোরক দাবি করেন যে, ২০২০ সালে হান্টারের ল্যাপটপ সংক্রান্ত খবর প্রকাশে বাধা দিয়েছিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। টুইট করেই তিনি লেখেন, প্রথমে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করলেও পরে বিভিন্ন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিত্বের ‘অনুরোধে’ নানা টুইট ও বিতর্কিত খবরের লিঙ্ক ডিলিট করেছে বিশ্বে বহুল জনপ্রিয় এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম। হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপ সংক্রান্ত খবরও তার মধ্যে পড়ে। এর পরেই গত কাল একটি টুইট করে সংস্থার বর্তমান কর্ণধার ও সিইও ইলন মাস্ক জানান, ‘টুইটার ফাইলস’ নামে একটি সিরিজ় খুব শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসছে। যেখানে প্রথমে থাকবে হান্টারের ল্যাপটপ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধের সেই প্রসঙ্গ।

Advertisement

ম্যাটের টুইটের পরেই শিরোনামে এসেছে রো এবং বিজয়ার নাম। বিজয়া সেই সময়ে টুইটারের লিগ্যাল, পলিসি ও ট্রাস্ট সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান ছিলেন। ম্যাট টুইট করে জানিয়েছেন, হান্টারের খবর সেন্সর করার জন্য টুইটারের উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন রো। বিজয়াকে এ নিয়ে কয়েকটি ই-মেলও পাঠিয়েছিলেন সিলিকন ভ্যালির ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি রো। বিজয়াকে লেখা ই-মেলে রো জানিয়েছিলেন, এক জন ডেমোক্র্যাট হয়ে তিনি বিশ্বাস করেন যে বাইডেন কোনও দুর্নীতি করেননি। তবু তিনি মনে করেন বিষয়টি সকলের সামনে আসা উচিত। না হলে বিষয়টি সেন্সরশিপ বিতর্কের পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। নিজেদের নীতির সপক্ষে সওয়াল করে তখন রো-কে জবাবি মেল পাঠিয়েছিলেন বিজয়াও। টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই বিজয়াকে বরখাস্ত করেছেন মাস্ক। তবে রো-কে নিয়ে ম্যাটের টুইট জানার পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘রো খন্না ইজ় গ্রেট’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন