UN Peacekeepers Contingent

রাষ্ট্রপুঞ্জের বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা ফিরছেন গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত কঙ্গো থেকে, কী কারণে এমন পদক্ষেপ?

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মোট ন’টি দেশে কর্মরত ২৫ শতাংশ শান্তিরক্ষীকে অর্থাভাবের কারণে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৩৬
Share:

শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে প্রত্যাহার করা হল বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের। ছবি: রয়টার্স।

রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে প্রত্যাহার করা হল বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের। মধ্য আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ দীর্ণ ‘কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ (‘ডিআর কঙ্গো’ নামে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিত) শান্তিরক্ষা মিশনে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের একমাত্র অবশিষ্ট দলটিকে মঙ্গলবার সেখান থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব জুড়ে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের পুলিশের দীর্ঘদিনের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ অংশগ্রহণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রকাশিত খবরে দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে অর্থসঙ্কট। যার কারণে রাষ্ট্রপুঞ্জ বিশ্ব জুড়ে ন’টি শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রায় এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৫ শতাংশের বেশি) সেনা ও পুলিশ সদস্য কমাতে বাধ্য হয়েছে তারা। আর তারই প্রভাব পড়েছে ডিআর কঙ্গোর শান্তিরক্ষা মিশনে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মোট ন’টি দেশে কর্মরত ২৫ শতাংশ শান্তিরক্ষীকে অর্থাভাবের কারণে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ১৩-১৪ হাজার সেনা ও পুলিশকর্মীকে ফেরত পাঠানো হবে তাঁদের দেশে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার রাষ্ট্রপুঞ্জকে দেওয়া আর্থিক অনুদানের পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সম্প্রতি ব্যয়সঙ্কোচের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। গত মে মাসে ৬৯০০ জন কর্মী ও আধিকারিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ।

Advertisement

হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিস সম্প্রতি ২০২৬ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থসাহায্য সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করার প্রস্তাবও দিয়েছে! তাদের যুক্তি, মালি, লেবানন এবং ডিআর কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশন সফল হয়নি। যদিও গত জুলাই মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করেছিল ডিআর কঙ্গোর সরকার এবং বিদ্রোহী এম২৩ বাহিনী। এর পরে পশ্চিম অংশে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উত্তর-পূর্ব কঙ্গোয় খনিজ সম্পদের দখলের উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক ভাবে আইএস মদতপুষ্ট এডিএফ বিদ্রোহীরা হামলা চালাচ্ছেV বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement