পারভেজ মুশারফ।—ফাইল চিত্র।
দেশদ্রোহের মামলা ঝুলছে তাঁর ঘাড়ে। সে জন্যই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে, ফের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। যেন তেন প্রকারে পাকিস্তানের মসনদে বসাই এখন তাঁর লক্ষ্য। এ ব্যাপারে আমেরিকার সাহায্য চান তিনি। তবে পুরো ব্যাপারটাই হতে হবে গোপনে। সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তাতে মার্কিন সেনেটদের এমন প্রস্তাব দেখা দিতে গিয়েছে মুশারফকে। তবে ভিডিয়োটি ঠিক কবে রেকর্ড করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। হঠাত্ করে সেটি কোথা থেকে, জানা যায়রনি তা-ও।
শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে বেশ কিছু ভিডিয়ো শেয়ার করেন পাকিস্তানি লেখিকা গুল বুখারি। সেখানে মুশারফকে বলতে শোনা যায়, আলকায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে সত্যি-ই অবহেলা করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। সে জন্য তিনি নিজেও লজ্জিত। কিন্তু সেই সঙ্গে সাফাইও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি যুক্তি দেন, ৯/১১ হামলা নিয়ে একইরকম গা ছাড়া মনোভাব ছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র। আইএসআই-ও একই ভুল করেছে। তাই ক্ষমা করে দেওয়াই উচিত।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জেনারেল পারভেজ মুশারফ। তবে পরবর্তীকালে দেশদ্রোহ-সহ একাধিক মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং বালুচিস্তানের গভর্নর নবাব আকবর শাহবাজ খান বুগতি হত্যা মামলাতেও তাঁর নাম জড়ায়। নিষেধাজ্ঞা বসে তাঁর নির্বাচনে দাঁড়ানোয়। যার পর সক্রিয় রাজনীতিতে আর সে ভাবে দেখা যায়নি মুশারফকে। চিকিত্সার জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে দুবাই রওনা দেন তিনি। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে তার পর আর দেশে ফেরেননি।
গুল বুখারির টুইট করা ওই ভিডিয়ো।
আরও পড়ুন: ১৬ দিন পরেও মেঘালয়ের কয়লা খনিতে নিখোঁজ ১৫ শ্রমিক, উদ্ধার শুধু তিনটে হেলমেট
আরও পড়ুন: জেরায় সনিয়ার নাম বলেছিলেন অগুস্তার দালাল, কোর্টে বলল ইডি
তবে এই সব ঘটনা তাঁর ক্ষমতায় ফেরার পথে অন্তরায় হতে পারে না বলে দাবি মুশারফের। মার্কিন সেনেটদের তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মানছি আমার একটা অতীত রয়েছে। আপনাদেরও কিছু না কিছু আছে। কিন্তু ক্ষমতায় ফেরা দরকার আমার। আর তার জন্য আপনাদের সাহায্য দরকার। তবে প্রকাশ্যে নয়, গোপনে।’’
অনুদানের টাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। কাটছাঁট করা হয়েছে অনুদানের টাকাও। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুশারফ। তাঁর দাবি, সঠিক কাজেই লেগেছে ওই টাকা। যার ফলে দেশে দারিদ্র্রের হার কমে ৩৪ থেকে ১৭ শতাংশে এসে পৌঁছেছ। তাতেও অবশ্য আপত্তি তোলেন মার্কিন সেনেটরা। বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানকে। দারিদ্র দূরীকরণের জন্য তা মঞ্জুর করেনি মার্কিন কংগ্রেস।