গুলির শব্দ! ছুটলেন নিউ ইয়র্কের মানুষ

ব্রডওয়ে শো-য়ে তখন ‘টু কিল আ মকিংবার্ড’-এর অভিনয় হচ্ছে। তার মধ্যে বাইরে হঠাৎ মোটরসাইকেল ‘ব্যাকফায়ার’–এর শব্দ। যাকে ভুল করে গুলির শব্দ ভেবে আতঙ্কে পথচারীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হুড়োহড়ি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

আতঙ্কে পথে নেমেছে লোকজন।—ছবি সংগৃহীত।

সপ্তাহান্তের ভয়াল স্মৃতি ফিকে হয়নি। ফের আতঙ্ক ছড়াল নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে।

Advertisement

ব্রডওয়ে শো-য়ে তখন ‘টু কিল আ মকিংবার্ড’-এর অভিনয় হচ্ছে। তার মধ্যে বাইরে হঠাৎ মোটরসাইকেল ‘ব্যাকফায়ার’–এর শব্দ। যাকে ভুল করে গুলির শব্দ ভেবে আতঙ্কে পথচারীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হুড়োহড়ি। ও দিকে মিডটাউন ম্যানহাটনে শুবার্ট থিয়েটারে মাঝপথেই শো বন্ধ করে দিতে হয়। পথের আতঙ্ক থেকে বাঁচতে তখন হুড়মুড়িয়ে লোক ঢুকে পড়েছে থিয়েটারের মধ্যে।

ওই শো-এর অভিনেতা গিডেন গ্লিক নিজেই টুইট করে জানান, তাঁদের অভিনয় বন্ধ করে দিতে হয়েছে কারণ দশর্করা ভেবেছেন, ফের কোনও বন্দুকবাজ হামলা চালিয়েছে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে। গ্লিক লিখেছেন, ‘‘নিরাপদ জায়গা খুঁজতে গিয়ে চিৎকার করে তখন বাইরের লোকজন ঢুকে পড়েছেন এই হলে। দর্শকরাও তাতে ঘাবড়ে গিয়েছেন। এর মধ্যে পড়ে বাধ্য হয়ে অভিনেতারা মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। এই দুনিয়ায় আমরা বাস করি! এটা আমাদের দুনিয়া হতে পারে না।’’ দর্শকের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী মার্ল ড্যানড্রিজ। তিনি জানান, গোলমালের মধ্যে রীতিমতো হামাগুড়ি দিয়ে বেড়িয়ে এসেছেন তিনি। তাঁর টুইট, ‘‘শুবার্ট থিয়েটারে হামাগুড়ি দিয়ে প্রাণ বাঁচালাম। এটাই এখন আমাদের দুনিয়া। শুধু আতঙ্ক আর গুলি খেয়ে মরার জন্য তৈরি। দেশের জন্য এখনও আমি ভয়ে কাঁপছি।’’

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ টাইমস স্কোয়ারে মোটরসাইকেল ‘ব্যাকফায়ার’ –এর শব্দে ভয় পেয়ে যান সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ। সেভেন্থ অ্যাভিনিউয়ের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ছুটে পালানোর চেষ্টা করছেন বহু মানুষ। পুলিশ সেই মুহূর্তেই ঘোষণা করেছে, ভয়ের কোনও কারণ নেই। কোনও বন্দুকবাজ হামলা চালায়নি। কিন্তু সে সব জানা-বোঝার আগেই নিউ ইয়র্কের অন্যতম জনপ্রিয় এই এলাকা থেকে ত্রস্ত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেছেন। গত শনিবার রাত থেকে টেক্সাস ও ওহায়োতে পর পর বন্দুকবাজের হামলায় অন্তত ৩১ জনের প্রাণ গিয়েছে। কাল রাতে তাই কেউ কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি।

‘বন্দুকবাজ’ ‘বন্দুকবাজ’ চিৎকার করতে করতে শুধু ছুটে পালানো নয়, মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ফোন করেছেন ৯১১-য়। একটা সময় ছোটাছুটির জেরে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ছোটাছুটির মধ্যে পড়ে জখম হয়েছেন কয়েক জন পথচারী। তবে রাত ১০টা ২০-র মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয় পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন