শপথ নেওযার পর মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেতে এ বার সংখ্যালঘু তামিলদের মন জয়ের চেষ্টা শুরু করলেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাঁর ছেলে নমল রাজাপক্ষে রবিবার একটি টুইটে জানিয়েছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা এবং প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে খুব শীঘ্রই তামিল কারাবন্দিদের মুক্তি দিতে পারেন। তবে এ নিয়ে এখনই সরকারি কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান নমল।
২২৫ আসনের শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ১০০ জন এমপি-র সমর্থন রয়েছে রাজাপক্ষের দিকে। সদ্য বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের পক্ষে রয়েছেন ১০৩ জন। বাকি দলগুলিও ঝুঁকে রনিলের পক্ষেই। এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার মূল তামিল দল ‘তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ (টিএনএ)-এর এমপি-দের সমর্থন পেতে মরিয়া রাজাপক্ষে।
সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে টিএনএ জানিয়েছিল, রাজাপক্ষের নিয়োগ অসাংবিধানিক। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনতে চায় তারা। যাতে দেশে ফের ভোট হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসেন প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যেই টিএনএ-র এক এমপি রাজাপক্ষেকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। আরও তিন-চার জন টিএনএ এমপি-ও রাজাপক্ষেকেই সমর্থন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের দক্ষিণের রাজনীতিতে শ্রীলঙ্কার প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগ, রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এলটিটিই-বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ যেমন হয়েছিল, তেমনই তামিলদের উপরে নিগ্রহও বেড়েছিল পাল্লা দিয়ে। এখন রাজাপক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পরেই ভারতের দক্ষিণের দলগুলো কেন্দ্রকে অনুরোধ জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকতে। দিল্লির আশঙ্কা, রাজাপক্ষে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেলে শ্রীলঙ্কায় চিনা ঘাঁটি তৈরির সম্ভাবনা আরও বাড়বে।