সতর্কতা জারি আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে। —ফাইল চিত্র।
নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটনের মতো আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে সতর্কতা জারি করলেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ! ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে আমেরিকার বিমান হামলার পরই সতর্ক প্রশাসন। পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনার মধ্যেই আমেরিকার শহরগুলিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আমেরিকা কি ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কা করছে?
নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তারা ইরান এবং পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। এক বিবৃতিতে নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক স্থানগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশও একই পথে হাঁটছে। শুধু তা-ই নয়, দেশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে স্থানীয় পুলিশ।
রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় আমেরিকা। ফরডো, ইসফাহান এবং নাতান্জ়— এই তিন কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে মার্কিন সেনা। সেই হামলার মধ্যে দিয়েই ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতে সরাসরি যোগ দিল আমেরিকা। শুধু তা-ই নয়, ইরানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, আগামী দিনে আরও ভয়ানক এবং আরও প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে।
ইরানে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধিকরণের ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেওয়া। এই দেশটিকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বিশ্বের এক নম্বর’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ইরানের কারণে সারা বিশ্বে যে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা বন্ধ করতে আমেরিকা এই হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকার হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণুঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
আমেরিকার হামলার পর ইরান কী করবে, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। পাল্টা হামলার পথে হাঁটবে, না কি শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ করবে— তা এখনও স্পষ্ট করে জানাইনি ইরান। তবে তারা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল, আত্মসমর্পণ করবে না! মাথা নত করবে না আমেরিকার সামনে। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইরান পাল্টা হামলার পথে হাঁটতে পারে। শুধু ইরান নয়, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিও হামলার ছক কষতে পারে বলেও আশঙ্কা। তবে তারা লোহিত সাগরে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাবে, না কি সরাসরি আমেরিকার মাটিতে— তা ভাবাচ্ছে বিশ্বের কূটনৈতিক মহলকে। সেই আবহেই আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি নিরাপত্তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন।