গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
ইরানে আমেরিকার হামলায় খুশি ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর সুরেই ‘শান্তির’ বার্তা দিলেন তিনি। বললেন, ‘‘শক্তির মধ্যে দিয়েই শান্তি আসে!’ ইরানের পরমাণু কেন্দ্রকে নিশানা করা ট্রাম্পের এক শক্তিশালী সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন তিনি।
রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতে সরাসরি যোগ দিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তাঁর দেশের সেনাবাহিনী। সেই হামলার পরে প্রথম মুখ খুললেন তাঁর বন্ধু নেতানিয়াহু। ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেন ভিডিয়ো বার্তা। পরে একে একে আসে ইজ়রায়েল-আমেরিকার বন্ধুত্বের কথা, ইরানে ইজ়রায়েলি হামলার প্রসঙ্গও।
ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে নেতানিয়াহুর বলেন, ‘‘ইরানের পরমাণুকেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করার মতো আপনার এই সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে!’’ ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, শান্তি শুধু শুধু আসতে পারে না। তার জন্য শক্তিপ্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। ট্রাম্প এবং তিনি যে একই ধারায় চিন্তা করেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি প্রায়শই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি আসে। প্রথমে শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন, তার পরেই আসে শান্তি। ট্রাম্প এবং আমেরিকান বাহিনী শক্তি প্রদর্শন করেছে।’’
ইরানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ শুরু করেছে ইজ়রায়েল। নেতানিয়াহু মনে করেন, এই অভিযান খুবই ভাল ভাবে চলছে। তবে আমেরিকা যা করেছে, তা অতুলনীয়। অন্য দেশ যা করে দেখাতে পারেনি, আমেরিকা তা করে দেখিয়েছে। ইতিহাস ট্রাম্পকে মনে রাখবে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তিনি। তার পরেই ইজ়রায়েল প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঈশ্বর, আমাদের (ইজ়রায়েল ও আমেরিকা) জোটকে অটুট রাখুক।’’
শেষে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অস্ত্রাগারের ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ নির্মূল করার জন্য ইজ়রায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাঁর কথায়, ‘‘যত দিন সময় লাগে, তত দিন যুদ্ধ চলবে!’’