বন্ধুর ব্যাগে জেল থেকে পালালেন আসামি। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচিল টপকানো নয়, কারারক্ষীদের সামনে দিয়েই জেল থেকে পালালেন এক বন্দি! কেউ দেখতেও পেলেন না তাঁকে। দেখবেন কী ভাবে, তিনি তো ছিলেন ব্যাগের ভিতরে। জেল থেকে পালাতে নিজেকে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে ফেলেন বন্দি। তার পর সেই ব্যাগের মধ্যে লুকিয়েই সোজা কয়েদখানার বাইরে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সের এক কারাগারে।
মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজ়েবের বন্দিশালা থেকে পালাতে একটি ফলের ঝুড়ি ব্যবহার করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজি। দুর্গের প্রহরীদের বোকা বানিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। এ বার ফ্রান্সের এক বন্দিশালা থেকে এক আসামির পালানোর ঘটনা তাজ্জব করে দিল কারারক্ষীদের। জেল থেকে পালাতে বন্ধুর ব্যাগের সাহায্য নেন ওই আসামি। ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে লিয়ঁ-করবাস জেলে।
ওই জেলের এক আসামির সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছিল। জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন তিনি। সেই মাহেন্দ্রক্ষণেরই সুযোগ নেন অপর এক আসামি। কয়েদখানার বন্ধুর ব্যাগের মধ্যে গুটিসুটি মেরে নিজেকে ঢুকিয়ে নেন তিনি। তার পরে সেই ব্যাগেই নির্বিঘ্নে জেলের বাইরে বেরিয়ে আসেন। ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ওই আসামি একাধিক অপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। এ ছাড়া একটি সংগঠিত অপরাধের মামলাতেও অভিযুক্ত তিনি। সেটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলপালানো ওই আসামির খোঁজ শুরু হয়েছে ফ্রান্সে। পাশাপাশি কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। বস্তুত, ফ্রান্সের এই জেলটিতে যত জন কয়েদি থাকার কথা, তার দ্বিগুণ বন্দিকে রাখা হয়েছিল। এই জেলে ৬৭৮ জন বন্দিকে রাখার জায়গা রয়েছে। কিন্তু, চলতি বছরের ১ মে-র হিসাব অনুসারে, প্রায় ১২০০ কয়েদি এই জেলে বন্দি ছিলেন। জেলে কয়েদিদের ভিড় নিয়ে গত মাসেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ফ্রান্সের ওই শহরের বার অ্যাসোসিয়েশন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কোনও সংগঠিত অপরাধচক্র এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে কি না, তা-ও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে।