দুনিয়া কাঁপিয়ে বেনজির সাইবার হামলা! ‘মুক্তিপণ’ দিলেই খুলবে কম্পিউটার

সারা বিশ্বকে এক সঙ্গে বেঁধে রেখেছে সাইবার কানেকশন। আর তাই সাইবার মহামারি যদি ছড়িয়ে পড়ে তা হলে এক সঙ্গে বিপদও ঘনিয়ে আসবে গোটা বিশ্বেই। হয়েছেও তেমনটাই। নজিরবিহীন ম্যালওয়্যারের শিকার হল সমগ্র ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া। হানা দিয়েছে ‘র‌্যানসমওয়্যার।’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ১২:৪০
Share:

প্রতীকী চিত্র

সারা বিশ্বকে এক সঙ্গে বেঁধে রেখেছে সাইবার কানেকশন। আর তাই সাইবার মহামারি যদি ছড়িয়ে পড়ে তা হলে এক সঙ্গে বিপদও ঘনিয়ে আসবে গোটা বিশ্বেই। হয়েছেও তেমনটাই। নজিরবিহীন ম্যালওয়্যারের শিকার হল সমগ্র ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া। হানা দিয়েছে ‘র‌্যানসমওয়্যার।’

Advertisement

এই র‌্যানসমওয়্যার দিয়ে বিশ্বের ৭০টা দেশের কোটি কোটি কম্পিউটার অকেজো করে দিচ্ছে হ্যাকাররা। চাওয়া হচ্ছে বিশাল অঙ্কের টাকা। ‘র‌্যানসম’ না দিলে সমস্ত ডেটা, এনক্রিপশন উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নিমেষে। একেবারে যেন অপহরণের জন্য মুক্তিপণ চাওয়া! ‘র‌্যানসম’ অর্থাত্, মোটা অঙ্কের টাকা ও ‘ম্যালওয়ার’ মিলিয়ে এই হানার নাম দেওয়া হয়েছে র‌্যানসমওয়্যার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির নজরদারির কাজে ব্যবহৃত সফটওয়্যারের গলদ ধরেই হ্যাকররা এই কুকর্মে ঘটিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার এই ভয়াবহ ম্যালওয়্যার হানার পরই এক ধাক্কায় বসে গিয়েছে রাশিয়ার আভ্যন্তরীণ মন্ত্রক, স্পেনীয় টেলিকমিউনিকেশন টেলেফ-নিকা ও ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার একটা বিরাট অংশ। আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে মনে করেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবায় আঘাত হানতেই এই দুষ্কর্ম করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করেন? সাবধান

ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির এই সফটওয়্যার তৈরির পর গত বছর অগস্ট মাসেই ধরা পড়েছিল গলদ। চলতি বছরের মার্চ মাসে মাইক্রোসফট সমস্যার সমাধান করেলও দেরি হয়ে গিয়েছিল। এপ্রিলেই নিজেদের ‘শ্যাডো ব্রোকার’ পরিচয় দিয়ে একদল হ্যাকার অনলাইনে প্রকাশ করে দেয় সেই সফটওয়্যার।

ঘটনার পর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে এনএসএ। অনেক বিশেষজ্ঞই আবার ঘটনার জন্য এনএসএ-কে দায়ী করতে রাজি নয়। এনএসএ সঠিক সময় মাইক্রোসফটকে জানিয়েছিল বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। শুক্রবার ঘটনা সামনে আসার পর মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “মার্চ মাসে আমরা যথেষ্ট ভাবে এই সফটওয়্যারকে সুরক্ষিত করতে ও ম্যালওয়্যার আটকাতে চেষ্টা করেছিলাম। যারা আমাদের ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন ও উইন্ডোজ আপডেট এনেবল করেছেন তাদের কম্পিউটার সুরক্ষিত রয়েছে। কোনও অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা আমরা দেখছি।”

যদিও, এনএসএ-র কাছ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন