International news

‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’, সিরিয়া নিয়ে  ট্রাম্পের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

রাষ্টপুঞ্জে মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি জানিয়েছেন, সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকার যদি সাধারণ মানুষজনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ বন্ধ না করে, তবে ফের হামলা চালানো হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৮ ১২:৩৭
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।

যে দিকে দু’চোখ যাচ্ছে, শুধুই ধ্বংসস্তূপ। শতাধিক মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের ধাক্কায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া ঘর-বাড়ি।সিরিয়ার দামাস্কাস ও তার আশেপাশের বেশ কিছু এলাকায় এখন শ্মশানের স্তব্ধতা। এর মধ্যেই টুইট করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড, আমরা জিতেছি।’’ ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধ শুরু হতে না হতেই‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ অর্থাত্‌ আভিযান সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে কথাটা বলে কিন্তু ঠকে গিয়েছিলেন তত্‌কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। ‘মিশন’ শেষ হওয়ার আট বছর পরে ২০১১ সালে ইরাক থেকে সেনাবাহিনী সরাতে সক্ষম হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে কি জর্জবুশের কথা ধার করে তাঁর মতোই ভুল করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?

Advertisement

ট্রাম্পের এই টুইটের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া। তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। কেউ বলেন, ‘‘একটা জায়গাকে ধ্বংস করে দেওয়ার পর ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ কথাটা শুনতে কিন্তু ভাল লাগল না।’’ কেউ আবার বলেছেন, ‘‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলে সেটা কিন্তু প্রহসন হয়ে দাঁড়ায়।’’ নিজের দেশে সমালোচনা সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড়। রাষ্টপুঞ্জে মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি জানিয়েছেন, সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকার যদি সাধারণ মানুষজনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ বন্ধ না করে, তবে ফের হামলা চালানো হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, সিরিয়ারবিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য দুমা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন আসাদের সরকার। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। আসাদকে শিক্ষা দিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এক যোগে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স। এই হামলার তীব্র নিন্দা করে রাশিয়া।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন ‘আগ্রাসন’ নিয়ে সরব রুশ প্রেসিডেন্ট

আরও পড়ুন: জীবনের মতো ভোটে দাঁড়ানো বারণ শরিফের

আসাদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের কোনও প্রমাণ নেই বলে দাবি করে রাশিয়ার হুমকি, মার্কিন জোটের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগ জানানো হবে। ভুল ধরিয়ে দিয়ে অনেকেই বলছেন, গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুতের অভিযোগে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন বুশ। কিন্তু পরে প্রমাণ হয়েছিল যে, তাদের হাতে সে রকম কোনও গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল না। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে ট্রাম্পও একই ভুল করে ফেললেন না তো? মার্কিন সোশ্যাল সাইটে কিন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে এমনই প্রশ্ন। আর গোটা বিষয়টা নিয়ে মহাশক্তিধর দেশগুলো যে ভাবে আড়াআড়ি দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে বিপদের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে বিশেষজ্ঞমহল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন