যেন ‘দেবতার গ্রাস’!
তার সঙ্গে লড়বে কে?
তা যে কখন-কোথায় হবে, সেটাই তো আগেভাগে জানা যায় না।
আধুনিক বিজ্ঞানও তার পূর্বাভাস দিতে পারে না।
ফলে, মাটি হঠাৎই থরথর করে কেঁপে উঠে, হুড়মুড়িয়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে, চাপা পড়েন লক্ষ-লক্ষ মানুষ। আগেভাগে আঁচ পেয়ে তাঁরা পালাতে পারেন না বলে। তাই ভূমিকম্পের অনিবার্য পরিণতি হয়ে দাঁড়ায় মৃত্যুর মিছিল।
এ বার কি সেই অনিবার্য পরিণতি থেকে কিছুটা রেহাই মেলার হাতিয়ার মানুষের হাতে আসে গেল?
অন্তত মিনিটখানেক আগে কি এ বার আমরা জানতে পারব, ভূমিকম্পে কখন আমাদের ঘর-বাড়ি থরথর করে কেঁপে উঠতে চলেছে?
হয়তো পারব। এই আশা জুগিয়েছে মেক্সিকোয় সদ্য-আবিস্কৃত দু’টি মোবাইল-অ্যাপ্স-‘স্কাইঅ্যালার্ট’ ও ‘অ্যালার্টা সিসমিকা ডিএফ’। এই দু’টি অ্যাপ্স দেড়-দু’হাজার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সব স্মার্টফোনেই ‘সিগন্যাল’ পাঠিয়ে দেবে ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে। ভূকম্পণ যদি প্রথম অনুভূত হয় এমনকী, হাজার দু’য়েক কিলোমিটার দূরের কোনও জায়গাতেও, তা হলেও বড়জোর দু’সেকেন্ড সময় লাগবে ওই অ্যাপের। ওই দু’সেকেন্ডের মধ্যেই দু’হাজার কিলোমিটার দূরে বসেও জেনে যেতে পারব, আর মিনিটখানেকের মধ্যে আমার-আপনার ঘর-বাড়ি ভূকম্পণে দুলে উঠবে কি না।
সেই ‘সিগন্যাল’টা কেমন হবে?
আমার-আপনার মোবাইলে আসবে একটি ‘অ্যালার্ট-কল’। যাতে শুনবেন, ‘শীঘ্রই ভূমিকম্প হতে পারে’। তার পর মোবাইলে আসবে একটি ‘টেক্সট মেসেজ’। তাতে জানিয়ে দেওয়া হবে আসন্ন ভূকম্পণের মাত্রা কতটা। তা দুর্বল না শক্তিশালী।
সম্প্রতি এই দু’টি মোবাইল-অ্যাপ্স চালু হয়েছে মেক্সিকোয়। কিন্তু, এরই মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওই দু’টি অ্যাপ্স। ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ওই দু’টি অ্যাপ্স এখন ব্যবহার করছেন।