রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষ। — ফাইল চিত্র।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামার কোনও আভাস এখনও মিলছে না। তারা আলোচনার টেবিলে বসবে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে ইউক্রেনের ভূখণ্ড ‘দখল’ চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, রবিবার তারা ইউক্রেনের নিপ্রো অঞ্চলে আরও একটি গ্রাম দখল করে নিয়েছে। যদিও ইউক্রেনের তরফে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলে আসা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দু’দেশের রাষ্ট্রনেতাকে নিয়ে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন তিনি। এ বার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে মুখোমুখি বসাতে চান ট্রাম্প। প্রাথমিক ভাবে দু’দেশই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আগ্রহ দেখালেও, ওই বৈঠক কবে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দু’দেশই একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে যাচ্ছে।
মস্কোর অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে রাশিয়ার পশ্চিম কুর্স্ক এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, হামলার সময়ে কুর্স্কের একটি পরমাণুকেন্দ্রে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা গিয়েছে বলেও দাবি করছে রাশিয়া। যদিও আগুন সঙ্গে সঙ্গে নিবিয়ে ফেলা হয়। একটি ট্রান্সফর্মারের ক্ষতি হলেও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যেই ছিল বলে দাবি মস্কোর। পাশাপাশি রাশিয়ার বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দু’পক্ষই একে অন্যের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ইউক্রেনের ৯৫টি ড্রোন রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে দাবি ক্রেমলিনের। অন্য দিকে ইউক্রেনের বায়ুসেনার দাবি, রাশিয়াও তাদের উপর ৭২টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি কিভের।
বর্তমানে, ইউক্রেনের ১৯ শতাংশ ভূখণ্ডে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অর্থাৎ, ইউক্রেনের প্রায় এক পঞ্চমাংশ বর্তমানে রাশিয়ার দখলে। এর মধ্যে রয়েছে সমগ্র ক্রাইমিয়া এবং লুহান্স্ক এলাকা। পাশাপাশি ডনেৎস্ক, জ়াপোরিঝিয়া এবং খেরনসের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকাতেও রুশ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এ ছাড়া খারকিভ, সামি, মিকোলিভ এবং নিপ্রোপেট্রোভস্কের কিছু কিছু অঞ্চলও মস্কোর দখলে আছে।