Mark Zuckerberg

জ়াকারবার্গের উপর আস্থাই নেই তাঁর সংস্থার কর্মীদের একটা বড় অংশের, কিন্তু কেন?

সিইও মার্ক জ়াকারবার্গের নেতৃত্বের উপর আস্থা নেই ‘মেটা’ সংস্থার ৭০ শতাংশেরও বেশি কর্মীর। মাত্র ২৬ শতাংশ কর্মী ভরসা করেন তাঁদের বস্‌‌কে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়া শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১৫:১৯
Share:

মার্ক জ়াকারবার্গ। —ফাইল চিত্র।

বসের প্রতি আস্থাই নেই কর্মীদের! এক সমীক্ষায় ‘মেটা’ সংস্থার এমন ছবিই ধরা পড়েছে। সংস্থার সিইও মার্ক জ়াকারবার্গের নেতৃত্বের উপর আস্থা নেই সংস্থার ৭০ শতাংশেরও বেশি কর্মীর। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সংস্থার মাত্র ২৬ শতাংশ কর্মী ভরসা করেন তাঁদের বস্‌‌কে।

Advertisement

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে মেটার সিইও জ়াকারবার্গের উপর কেন আস্থা হারালেন কর্মীদের একটা বড় অংশ? এই প্রশ্নই তৈরি হয়েছে টেক মহলে। করোনা পরবর্তী সময়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। তাদের মধ্যে অন্যতম মেটা। ২১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে ওই সংস্থায়। এত সংখ্যক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ভাবেই সংস্থার কর্মীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জ়াকারবার্গের উপর তাঁর সংস্থার কর্মীদের একটা বড় অংশের আস্থা হারানোর নেপথ্যে ছাঁটাই একটা অন্যতম কারণ।

শুধু ছাঁটাই নয়। বাজেট সঙ্কোচন, সংস্থার নানা কৌশল বদলও কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সংস্থার আর্থিক হাল ফেরাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যপূরণে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাতিল করছে মেটা। পাশাপাশি নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়াও শ্লথ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণেই সংস্থার সিইও-র প্রতি তাঁর কর্মীরা আস্থা হারাচ্ছেন।

Advertisement

ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা যে কঠিন, সেই সম্পর্কে কয়েক সপ্তাহ আগেই মুখ খুলেছিলেন জ়াকারবার্গ। এমনকি, নতুন করে আর কোনও কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেই বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। তবে একই সঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘পৃথিবীটা এখন খুবই অস্থির।’’ অর্থাৎ, পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে আবার যে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে সংস্থা, তেমন ইঙ্গিতই জ়াকারবার্গ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন