(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা , মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের কোনও সংবাদমাধ্যম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনে’ কঠোর পদক্ষেপ করা হবে! শুক্রবার এই বার্তা দিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার হাসিনার একটি বক্তৃতা বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যম প্রচার করেছিল। তার পরেই এই সতর্কবার্তা দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তৎক্ষণাৎ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলি যদি ফৌজদারি অপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত পলাতক আসামি তথা ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিয়ো সম্প্রচার করে, তবে তা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়াও গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে বলেও সরকারি বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৫ অগস্ট গণবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। কিন্তু সমাজমাধ্যমে ধারাবাহিক ভাবে অনুগামীদের উদ্দেশে বক্ততা করছেন তিনি। ইউনূস সরকারের নানা ‘জনবিরোধী’ নীতির সমালোচনাও করে চলেছেন। হাসিনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ইতিমধ্যেই ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছে ইউনূস সরকার। এ বার শুরু হল তাঁর ‘কণ্ঠরোধের’ তৎপরতা।