বিস্ফোরণ ঘটার আগের মুহূর্তে আইএস জঙ্গিকে জড়িয়ে ধরলেন নাজিহ!

মৃত্যু হতে পারত কয়েকশো মানুষের। হিসেব কষেই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল আইএস। কিন্তু ইসলামিক স্টেট জঙ্গির সেই হামলার তীব্রতা কমাতে নিজেকে উৎসর্গ করে দিলেন এক মুসলমানই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ১৮:৪৯
Share:

বিস্ফোরণের পর। ছবি: এএফপি।

মৃত্যু হতে পারত কয়েকশো মানুষের। হিসেব কষেই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল আইএস। কিন্তু ইসলামিক স্টেট জঙ্গির সেই হামলার তীব্রতা কমাতে নিজেকে উৎসর্গ করে দিলেন এক মুসলমানই।

Advertisement

ইরাকের বালাদ শহরে শুক্রবার এই হামলাটি চালিয়েছিল আইএস। সৈয়দ মুহাম্মদ মসজিদ নামে বালাদের একটি সুপ্রাচীন তীর্থক্ষেত্র ছিল হামলাটির লক্ষ্য। মসজিদে যখন বহু মানুষের সমাগম হয়েছে, ঠিক সেই সময়েই হানা দেয় আইএস জঙ্গি। লক্ষ্য ছিল বহু প্রাণহানি ঘটানো। কিন্তু জঙ্গির হাবভাব দেখে নাজিহ শাকির নামে এক পুন্যার্থী বুঝতে পারেন, বিস্ফোরণ ঘটাতেই সে মসজিদে ঢুকছে। আর সময় নষ্ট করেননি নাজিহ শাকির। দৌড়ে গিয়ে মসজিদের মূল অংশে ঢোকার প্রবেশ পথেই আটকে দেন জঙ্গিকে। জঙ্গি তার আত্মঘাতী জ্যাকেটে বাঁধা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটানোর আগের মুহূর্তে নাজিহ শাকির জড়িয়ে ধরেন জঙ্গিকে। এতে বিস্ফোরণের আঘাত অনেকটাই নিজের শরীর দিয়ে আটকে দিতে সক্ষম হন নাজিহ। তাঁর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু বিস্ফোরণের তীব্রতা বেশ কিছুটা কমে যায়।

আরও পড়ুন: ডালাসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের ওপর আরও বড় হামলার ছক ছিল মিকার?

Advertisement

ইরাকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বালাদের সৈয়দ মুহাম্মদ মসজিদের বিস্ফোরণে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭০ জন জখম। কিন্তু নাজিহ শাকির আত্মঘাতী জঙ্গিকে জড়িয়ে না ধরলে মৃতের সংখ্যা ২০০-৩০০-তে পৌঁছে যেতে পারত।

বালাদ শহরের এই আত্মঘাতী হামলার ঠিক আগের দিনই কারাদা এলাকায় একই কায়দায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল আইএস। তাতে ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। ওই হামলা ছিল গত ১৩ বছরে ইরাকে সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী হামলা। বালাদ শহরও একই পরিণতির শিকার হতে পারত, যদি নাজিহ শাকির নিজের জীবন উৎসর্গ না করতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন