ট্রাম্প ইমপিচ করারও যোগ্য নন: পেলোসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ইমপিচমেন্ট’-এরও  যোগ্য নন! হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এ বার এই সুরেই ট্রাম্পকে বিঁধেছেন। এক মার্কিন দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেছেন পেলোসি।

Advertisement

ওয়াশিংটন

সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০১:৪৬
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যান্সি পেলোসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ইমপিচমেন্ট’-এরও যোগ্য নন! হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এ বার এই সুরেই ট্রাম্পকে বিঁধেছেন। এক মার্কিন দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেছেন পেলোসি। তাঁর মতে, ‘‘উনি দেশ চালানোর জন্য একেবারেই উপযুক্ত নন। কিন্তু তাই বলে তাঁকে ইমপিচ-ও করা যায় না। কারণ উনি সেটারও যোগ্য নন।’’

Advertisement

এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পেলোসি। ওই দৈনিকে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি ইমপিচমেন্টের পক্ষে নই। এটাই একটা খবর। আমি আর কোনও কাগজকে এত দিন এ কথা বলিনি। আপনারা জিজ্ঞেস করলেন, তাই বলছি। আমিও এটা নিয়ে ভাবছিলাম। ইমপিচমেন্ট এমন একটা ব্যাপার, যা নিয়ে দেশ দু’ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে। তাই এমন একটা পদক্ষেপ তখনই করা যায় যখন তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় আসে। ট্রাম্পের জন্য দেশ দু’ভাগ হয়ে যাবে, এটা ভাবাই যায় না। উনি স্রেফ এর যোগ্য নন।’’ এর পাশাপাশি পেলোসির সংযোজন, ‘‘নৈতিক ভাবে, বৌদ্ধিক দিক থেকে এবং আগ্রহের বিষয় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ট্রাম্প একেবারেই অযোগ্য। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ওঁকে মেনে নেওয়া যায় না।’’

এর আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছেন পেলোসি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বারের মতো ধারালো আক্রমণ স্পিকারকে আগে করতে দেখা যায়নি। এর কিছু দিন আগেই হাউসের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলার বড়সড় তদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছেন ৮১ জনকে। সে চিঠি গিয়েছে হোয়াইট হাউস, বিচার বিভাগ, উচ্চপদস্থ প্রচার অফিসার, ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানের অফিসার এবং প্রেসিডেন্ট পুত্রদের কাছে। দুর্নীতি, বিচারকাজে বাধাদান এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, ট্রাম্পের প্রথম দু’বছরের মেয়াদে প্রশাসনিক কাজ সে ভাবে খতিয়ে দেখাই হয়নি।

Advertisement

মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জেমি রাসকিন বলেছেন, ‘‘ঘুষ নেওয়া, দেশদ্রোহ বা এই ধরনের বড় ধরনের অভিযোগ উঠলে সংবিধান অনুযায়ী, ইমপেচমেন্ট-এর দাবি ওঠে। তাই সংবিধান মেনে দেশের মানুষের তরফে সেই দাবি উঠলে ইমপিচমেন্ট হতেই পারে।’’ তাঁর মতে, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে আবার ইমপিচমেন্ট দেশকে একজোটও করেছে। রিচার্ড নিক্সনের বেলায় যেমনটা হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন