২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। শেষ তালিকা প্রকাশ হয়েছিল ২০১৬ সালে। চলতি বছর বিশ্বের ৭৫ জন ক্ষমতাশালী মহিলা ও পুরষকে বেছে নিয়ে ফের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। বিশ্বে তাঁদের প্রভাব, সম্পদ এবং ক্ষমতার নিরিখে ফোর্বস তালিকায় এই জায়গা দেওয়া হয়। দেখুন তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন কারা?
শি চিনফিং: ২০১৬ সালে ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। চলতি বছর তাঁকে পিছনে ফেলে ফোর্বস তালিকায় প্রথমে উঠে এসেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শি চিনফিং। ২০১২ সালে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৩ সালের রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর থেকেই চিনে নিজের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করেন শি।
ভ্লাদিমির পুতিন: দু’বছর আগে ছিলেন ফোর্বস তালিকার প্রথম আসনে। চলতি বছরে তাঁর জায়গা হয়েছে তালিকার দু’নম্বরে। প্রথম দফায় ২০০০ থেকে ২০০৮, এই আট বছরে পরপর দু’বার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন পুতিন। মাঝখানে দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়ে নিজে মাস ছয়েকের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তারপর আবার প্রেসিডেন্ট হন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প: গত বারের দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৭ সালে মার্কিন ইতিহাসে প্রথম বিলিওনেয়ার বা শতকোটিপতি প্রেসিডেন্ট তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন ট্রাম্প।
অ্যাঙ্গেলা মের্কেল: ফোর্বস ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। তিনিই জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর। বারে বারেই ক্ষমতার শীর্ষে উঠে এসেছে তাঁর নাম। তবে গতবারের তুলনায় ট্রাম্পের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি।
জেফ বেজোস: ১৯৯৮ সালে ফোর্বস-এর বিচারে আমেরিকার প্রথম ৪০০ জন ধনীর তালিকায় নাম ওঠে জেফ বেজোসের। এর পর বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ জনপ্রিয় হতে থাকে তাঁর সংস্থা আমাজন। ২০১৭ সালে ফোর্বস তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসেন জেফ। চলতি বছর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন জেফ।
পোপ ফ্রান্সিস: রোমের ক্যাথলিক চার্চের ২৬৬তম এবং বর্তমান পোপ জর্জ মারিও বেরগোগলিও বা ফ্রান্সিস। ২০১৩ সাল থেকে পর পর তিন বছর বিশ্বের চতুর্থ ক্ষমতাশালী ব্যক্তির তালিকায় ছিলেন তিনি। চলতি বছরে রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে।
বিল গেটস: ফোর্বসের বিচারে ২০১৬ সালের পর চলতি বছরে ক্ষমতাশালীদের অলিন্দে সপ্তমেই রয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাঁকে পিছনে ফেলে প্রতি বছরই এগিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ২০১২ সালে চার নম্বর থেকে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে ছ’নম্বরে নেমে গিয়েছিল তাঁর নাম।
মহম্মদ বিন সলমন সৌদি: দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তরুণ মহম্মদ বিন সলমনই এখন জনপ্রিয় মুখ। সৌদি আরবের সত্যিকার ক্ষমতা সলমনের কাছে রয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। চলতি বছরে ফোর্বসের বিচারে ক্ষমতাশালীদের তালিকায় আট নম্বরে রয়েছে তাঁর নাম।
নরেন্দ্র মোদী: ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৮— তিন বছর ধরে ফোর্বসের বিচারে প্রভাবশালীদের তালিকায় নবম স্থানটি ধরে রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর ওই স্থানটি নিয়ে ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গের সঙ্গে তাঁর জোর টক্কর হয়। তবে মোদী এগিয়ে যান। জুকেরবার্গ পিছিয়ে যান দশমে।
ল্যারি পেজ: মার্ক জুকেরবার্গকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এ বছরে এগিয়ে এসেছেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। ২০১৫ সালে প্রথমবার তিনি ফোর্বসের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। সে বছর ১০ নম্বরে ছিলেন। ২০১৬-তে ছিলেন ৮ নম্বের। আর চলতি বছর ফের দশে।
মুকেশ অম্বানী: প্রথম দশে জায়গা না পেলেও ফোর্বসের বিচারে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের তালিকায় ৭৫ জনের মধ্যে ৩২ নম্বরে রয়েছেন রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানী।