স্কুলছুট অর্ধেক আফগান শিশু, দাবি রিপোর্টে

আজই একটি মানবাধিকার সংস্থা এ দেশের শিশুদের শিক্ষা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের ৪৪ শতাংশ শিশুই স্কুলে যায় না। ঘনঘন জঙ্গি হামলা, দারিদ্র, বাল্য বিবাহ আর নারী-পুরুষের বৈষম্যকেই এর জন্য দায়ী করেছে সংস্থাটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ০২:৩৭
Share:

স্কুলে যাচ্ছে না আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক শিশু।

Advertisement

আজই একটি মানবাধিকার সংস্থা এ দেশের শিশুদের শিক্ষা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের ৪৪ শতাংশ শিশুই স্কুলে যায় না। ঘনঘন জঙ্গি হামলা, দারিদ্র, বাল্য বিবাহ আর নারী-পুরুষের বৈষম্যকেই এর জন্য দায়ী করেছে সংস্থাটি।

একটি সেমিনারে শিশু শিক্ষার এই করুণ অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মিরওয়াইস বালখি-ও। ইউনেস্কো এবং এক মার্কিন স্বেচ্ছাসেবীর করা সমীক্ষার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মিরওয়াইস জানিয়েছেন, সাত থেকে সতেরো বছর বয়সি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা গিয়েছে যে, প্রায় ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার আফগান শিশু স্কুলের পথ মাড়ায় না। এদের মধ্যে আবার স্কুলছুট কন্যা সন্তানের সংখ্যা ২০ লক্ষ ৭০ হাজার।

Advertisement

নাম না করেও গোটা বিষয়টির পিছনে তালিবান আর আইএসের বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও মুখে তিনি বলেছেন, ‘‘শিশুদের এ ভাবে স্কুলছুট হওয়ার কারণ অনেক।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ‘‘শিক্ষাই হল যুদ্ধ, দারিদ্র আর বেকারত্বের সঙ্গেই লড়াইয়ের আসল অস্ত্র।’’

এ বছরের এপ্রিলেই দু’টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল তালিবান জঙ্গিরা। যার জেরে এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে একশোরও বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানের মধ্য দাইকুন্দি প্রদেশ নারী শিক্ষার জন্য দেশের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা বলে মনে করা হয়। শিক্ষামন্ত্রীর সেমিনারে উপস্থিত ছিল সেখানকার বাসিন্দা কিশোরী জ়িওয়ার। সে জানাল, ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত স্কুলে যেত। কিন্তু এখন সব বন্ধ। বলল, ‘‘আমি পড়তে-লিখতে জানি। চিঠিও লিখতে পারি। বই থেকে অনেক কিছু শিখি। আমি পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে চাই। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন